১২ মার্চ, ২০২২ ১৫:৩৭

শৈলকূপায় অবৈধ কলাহাটের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

শৈলকূপায় অবৈধ কলাহাটের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষক

ভাটই বাজারের ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে বসা কলাহাট।

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ভাইট বাজারে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে চলছে কলার হাট। দরপত্রবিহীন অবৈধ ভাবে এভাবে কলাহাট বসিয়ে প্রতিনিয়ত টোল আদায় করে আত্মসাৎ করছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, সেই সাথে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।

জানা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ভাটই বাজারের ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে কলাহাট বসায় ওই এলাকার হাফিজুর রহমান, আতিয়ার রহমান, টিটু ও আবু বক্কর। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে অন্যান্য হাট বসলেও অবৈধ ওই হাট প্রতিদিন বসানো হচ্ছে। সেই সাথে হাটের সাথে জড়িতরা রাস্তায় কলা পরিবহনের ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ওই হাটে নিতে বাধ্য করছে। এতে ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই এলাকার কৃষকরা। সেই সাথে ঝিনাইদহ শহরের পৌর কলাহাটসহ অন্যান্য হাটে কলা নিয়ে যেতে পারছে না কৃষকরা।

শৈলকুপা উপজেলার গোলক নগর গ্রামের কলাচাষী মাসুম বিল্লাহ জানান, আমার নিজের জমির কলা বিক্রির জন্য ঝিনাইদহ পৌর কলার হাটে নিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাটই কলার হাটের সামনে আসা মাত্রই আতিয়ার রহমান জোর করে ভ্যান থেকে কলা নামিয়ে নেয়। আমার যে কলা তা প্রতি কাঁদি ৪০০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা জোর করে ২০০ টাকা করে দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক ব্যক্তি জানান, আমি কলা নিয়ে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলাম। ভাটই হাটের সামনে গেলে জোর করেই আমার কলা হাটে নিয়ে যায়। সেখানে কম দামে আমার কলা দিতে হয়। আবার টাকাও বাকি রাখে। কিছু বললে মারধর করতে আসে।

এদিকে, অবৈধ ওই কলাহাটের কারণে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে ঝিনাইদহ পৌর হাটসহ অন্যান্য হাটের ইজাদাররা। অবৈধ ওই কলাহাট বন্ধের জন্য ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

এক কৃষক জানান, আমি কলা বিক্রির ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাই। প্রত্যেক দিন ঘুরছি তাদের কাছে। টাকা তো দিচ্ছেই না, বরং সেখানে গেলে খারাপ ব্যবহার করছে তারা।

অবৈধ ওই হাটের ব্যাপারে অভিযুক্ত হাট মালিক হাফিজুর রহমান জানান, আমার অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমি ডিসি সাহেবের কাছে কাগজ দিয়েছি। মনে হয় দ্রুতই কাজ হয়ে যাবে। আমি কারও কলা জোর করে নেয়নি। যার যেখানে খুশি তারা সেখানে বিক্রি করুক।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, আমি এর আগে হাটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন যদি শুরু করে তাহলে কাউকে অভিযোগ দিতে বলেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর