আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অন্যতম আসামি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন সাউথ লাইনের ১২টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বাসগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করে ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ এবং ব্যাংক লোনের দায় থেকে মুক্তি পেতে আসামিরা দুর্বৃত্তদের দিয়ে এমন কাজ করিয়েছেন বলে জানানো হয়। সোমবার বিকেলে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা।

তিনি জানান, অর্থ পাচার মামলায় সিআইডির জব্দকৃত ১২টি বাসে গত ১২ মার্চ রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। ২১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ শহরের গোয়ালচামটস্থ হেলিপ্যাড বাজার এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করে। আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাস পোড়ানোর কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও জানানো হয়, অর্থ পাচার মামলায় জব্দকৃত বাসগুলোর ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ ও ব্যাংক লোনের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে কারাগারে আটক থাকা দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল আটককৃতদের দিয়ে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটায়। আটক আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ফরিদপুরের গোয়ালচামট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে একটি সেডে জব্দকৃত ১২টি বাস রাখা ছিল। এ বাসগুলোর মালিক দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অন্যতম আসা, শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।

বিডি প্রতিদিন/এমআই