২৪ মার্চ, ২০২২ ০৭:৫৮

প্রণোদনার টাকা বিতরণ না করায় হাসপাতালের পরিচালক অবরুদ্ধ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রণোদনার টাকা বিতরণ না করায় হাসপাতালের পরিচালক অবরুদ্ধ

করোনাকালীন সেবা প্রদানের সময় চিকিৎসক, সেবিকা, ওয়ার্ড বয়দের জন্য সরকার নির্ধারিত প্রণোদনা টাকা প্রদান না করা এবং সেই টাকা ফেরত চলে যাওয়ায় বিক্ষোভ করেছে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবিকা, ওয়ার্ড ও কর্মচারীরা। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ সময় পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে রোগীদের সেবা বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল জলিলের হস্তক্ষেপে এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে যে টাকা ব্যাংক হিসেবে আছে তা প্রদানের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমানকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তার নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রণোদনার সমুদয় টাকা ফেরত দেওয়া হবে এ আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ড বয় অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব আফসানা আক্তার জানান, যারা করোনায় সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়েছে তাদের জন্য সরকারি পক্ষ থেকে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে বরাদ্দ দেয় গত বছরের জুলাই মাসে। এর মধ্যে চিকিৎসকদের প্রতিদিন বাবদ এক হাজার ৮০০, সেবিকাদের এক হাজার ২০০ এবং ওয়ার্ড বয়দের ৮০০ করে টাকা দেওয়ার কথা। যে সেবিকা এক মাস কাজ করেছেন তাদের ১৫ দিনের জন্য এ প্রণোদনার টাকা পাওয়ার কথা।

কিন্তু আমাদের পরিচালকের খাম-খেয়ালির কারণে সেই টাকা মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ওই টাকা আমাদের না দিয়ে ব্যাংকে ফেলে রাখা হয়। গত ৯ মার্চ প্রণোদনা বাবদ আসা ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে এক কোটি টাকা ফেরত চলে যায়। ফলে আমাদের নির্ধারিত প্রণোদনার টাকা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান  জানান, টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা একটি কমিটি গঠন করি। সেই কমিটির তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে এজি অফিসে পাঠানো হলে সেখান থেকে জানানো হয় প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এ খবরেই কিছু স্টাফরা বিক্ষোভ করেছে। তিনি বলেন, প্রণোদনার যে টাকা ফেরত গেছে তা আনার জন্য চিঠি লেখা হবে। আর যে টাকা রয়ে গেছে দ্রুতই সেটি প্রদান করা হবে। সময়মত টাকা কেন টাকা প্রদান করা হলো না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকা প্রণয়ন করতে দেরি হয়ে গেছে। 

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল জলিল জানান, বিক্ষোভের খবর পেয়েই আমি দ্রুত ঘটনা স্থলে যাই। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে দশ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীরা কাজে ফিরে যান। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, হাসপাতালের পরিচালক অবরুদ্ধ এ খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই অবরোধ দশা থেকে মুক্তিপান পরিচালক।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর