১৭ এপ্রিল, ২০২২ ০১:৫৭

বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার।

নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরে আবারও একটি বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। হিংস্র প্রাণী ভেবে পিটিয়ে আহত করার সংবাদ পেয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বানরটি বনে অবমুক্ত করা হয়। গত এক বছরে প্রায় পাঁচটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধারের পর বনে অবমুক্ত করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসং।

পাহাড়ি জনপদ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রায় সময় বানর ও সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ধরা পড়ে। শুক্রবার রাতেও উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বাড়ুইপাড়া গ্রামে বানরটিকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে প্রাণীটিকে হিংস্রভেবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন তারা।

আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় আব্দুল খালেক প্রাণীটিকে উদ্ধার করে তার বাড়ি নিয়ে যান। তখন তারা জানতে পারেন এটি একটি বিলুপ্তপ্রায় লজ্জাবতী বানর। প্রাণীটি হাতে এবং চোখে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছে। এলাকাবাসী শনিবার দুপুরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসং-এর সদস্যরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অবমুক্ত করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব উল আহসান জানান, সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলায় প্রায় সময় খাদ্যের সন্ধানে বন থেকে লোকালয়ে আসছে বিভিন্ন প্রকার প্রাণী। আগের মতো বন এখন না থাকায় আশ্রয়হীন হয়ে এসব প্রাণী মানুষের মাঝে চলে আসছে। তবে আগে মানুষ এগুলোকে মেরে ফেলতো। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে আসছে। এগুলো উদ্ধার করে আবারো বনে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে।

এদিকে, লোকালয়ে প্রায়ই এসব প্রাণী চলে আসার কারণ হিসেবে বনভূমি উজাড় করে ফেলা এবং পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর বুকে বালুখেকোদের তাণ্ডবকেই দায়ী করছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। তারা বলছেন, এসব বন্যপ্রাণী আশ্রয় হারিয়ে আজ বিলুপ্তির পথে। পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে না পারলে হুমকির মুখে মানুষ পড়বে বলেও তারা জানান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর