২০ এপ্রিল, ২০২২ ২০:২৯

চকরিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৫ মিনিটের কালবৈশাখীর তাণ্ডবে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় বড়বড় গাছপালা উপড়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্ষেতের ফসল। সকাল থেকে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ হীন হয়ে পড়ে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরো উপজেলায় হঠাৎ করে কালবৈশাখীর ঝড়-বাতাস শুরু হয়। সাথে শিলাবৃষ্টিও পড়ে। 

জানা যায়, উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকের বড়বড় গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের উপর। তবে কেউ আহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে ডুলাহাজারা ছগিরশাহ কাটা ও রিংভং এলাকায় রিজার্ভ বনভূমিতে ৬টি বসতবাড়িতে মাদারট্রি পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একইভাবে কাকারা ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারসহ খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে। উপজেলার বেশকটি ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবজি ক্ষেতের। 

কাকারা ইউনিয়নের করলা চাষি রিদুয়ানুল হক বলেন, সম্প্রতি ৪০ শতক জমিতে করলা ক্ষেত শুরু করি। চারাও বেশ লম্বা হয়। ফুল আসতে আরও সপ্তাহ খানেক লাগবে। এতে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির কারণে ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে আমার এক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এদিকে আম বড় হতে শুরু করেছে। কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির কারণে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কাঁচা আম ঝরে পড়েছে।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিম হোসেন বলেন, সরেজমিন সবজি ও ফসলি ক্ষেতের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে ব্লক পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, গাছপালা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা নির্ধারণ পূর্বক তাদের উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর