২২ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০১

সঠিক সময়ে প্রশ্নপত্র না আসায় পরীক্ষা দিতে পারেননি কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

সঠিক সময়ে প্রশ্নপত্র না আসায় পরীক্ষা দিতে পারেননি কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী

পরীক্ষা কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ।

লালমনিরহাটে সঠিক সময়ে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় জেলার কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেনি। এসময় তারা পরীক্ষা দিতে না পারায় পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

শুক্রবার জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজে এমন ঘটনা ঘটে।

পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ফিরে যাওয়া চাকরিপ্রত্যাশী আমির আলী, হেলাল হোসেন ও আল মামুন জানান, পরীক্ষা দিতে এসে হলে দেখি প্রশ্নের মেঘনা সেট নেই। পরে কেন্দ্র পরিদর্শক জানান, ১৫ মিনিট বাইরে থাকেন, প্রশ্ন আসলে কেন্দ্রে ঢোকানো হবে। কিন্তু দেড় ঘণ্টায় প্রশ্নের সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছি।

একই কথা বলেন সাপ্টিবাড়ি কলেজ কেন্দ্র থেকে ফিরে যাওয়া পরীক্ষার্থী জেল হোসেন, আব্দুল ওহাব ও শাহ আলী। তারা বলেন, প্রশাসনের দ্বিমুখী আচরণে তাদের জীবন নষ্ট হলো।

জানা যায়, এবারে লালমনিরহাটে প্রায়-১৫ হাজার ৬০০ জন পরীক্ষার্থী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই নিয়োগ পরীক্ষায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও সুরমা এই চার সেটে পরীক্ষা হওয়ার কথা। জেলার তিনটি কেন্দ্রে পদ্মা, যমুনা ও সুরমা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও যারা মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থী তারা পরীক্ষা দিতে পারেননি। কারণ ওই তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সময়ে আসেনি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রগুলোতে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র আসে।

যদিও জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফরের নির্দেশনায় পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধানরা পরে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেন। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মেঘনা সেটের অধিকাংশ পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এমন অবহেলার জন্য জেলা প্রশাসককে দায়ী করে জামসুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন প্রতিক্ষার পর মনে অনেক আনন্দ নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর জানতে পারি আমার মেঘনা সেটের কোনো প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসেনি। তাই কেন্দ্র প্রধান মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে বাইর করে দেন। পরে আমরা মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ করতে থাকি। 

বিক্ষোভ প্রদর্শন সময়ে কেন্দ্রে যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা বা পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, কারিগরী ত্রুটির কারণে মেঘনা সেটের প্রশ্নপত্র না আসায় মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি। তবে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে মেঘনা সেটের পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর