বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৬০০ বছর ধরে ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কালের পরিক্রমায় বহু বছর ধরে ষাটগম্বুজ মসজিদে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারও দেশী-বিদেশী মুসল্লিদের সুবিধার্থে ৩টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সোয়া ৮টায় এবং তৃতীয় অর্থাৎ সর্বশেষ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়।
ষাটগম্বুজ মসজিদে প্রধান জামাতে ষাটগম্বুজ মসজিদ কমিটির সভাপতি ও বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মাদ আজিজুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও দেশী-বিদেশী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্য এই মসজিদে ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামায়াতে ইমামতি করেন বাগেরহাট কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হেলাল উদ্দিন। তৃতীয় এবং সর্বশেষ জামায়াতে ইমামতি করেন বাগেরহাট শহরতলীর সিঙ্গাইড় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম।
৩টি জামাতেই মুসল্লিদের আধিক্য ছিল। তিনটি জামাতেই মুসলিম উম্মাহার শান্তি কামনা ও করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঈদ জামায়াতে অংশ নেয়া ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের তৎপর থাকতে দেখা যায়।
বাগেরহাটের ডিসি মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। জেলার অন্য মসজিদ ও ঈদগায়ে মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর