৮ মে, ২০২২ ০২:২১

কর্মস্থলে ফেরা হলো না অধ্যাপক মশিউরের

নাটোর প্রতিনিধি

কর্মস্থলে ফেরা হলো না অধ্যাপক মশিউরের

অধ্যাপক মশিউর রহমান

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে করে কর্মস্থল নাটোরের নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান। তবে কর্মস্থলে তার আর ফেরা হলো না। পরিবহন বাসটির বেপরোয়া গতির কারণে শনিবার (৭ মে) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ার মহিষভাঙ্গা এলাকায় গাজী রাইস মিলের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। 

এসময় প্রাণ হারান আরও ছয়জন। শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা অধ্যাপক মশিউরের মরদেহ নিতে হাজির হয়েছেন বনপাড়া হাইওয়ে থানায়। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সকলের মাঝে। নিহত মশিউর রহমান (৪৫) এনএস সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি তার স্ত্রী  কলেজ শিক্ষিকা ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, এক ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন।

এ ঘটনায় নিহত আরও ছয়জন হলেন- নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি (৩০), সদর উপজেলার পাইকোরদৌল গ্রামের শাজাহান আলীর মেয়ে সাদিয়া পারভিন (১২), ছেলে কাওছার আলী (১৮), টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ভানু প্রামাণিকের ছেলে জলিল (২৫), মাগুরা জেলার মিজানুর রহমান (২৮) ও নাটোরের সদর উপজেলার পাইকোরদৌল গ্রামের আলমগীর হোসেন (৪৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা ওই পরিবহন বাসটি ওভারটেক করতে যায়। এসময় নাটোর থেকে ঢাকাগামী অপর একটি পরিবহন বাস এবং সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ওই পরিবহনের ৬ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর নিহত হন আরও একজন। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। 

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, বেপরোয়া গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। বগুড়া হাইওয়ে জোনের পুলিশ সুপার মুনশী শাহবুদ্দিন জানান, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় বনপাড়া ও হাইওয়ে থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও  আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর