১০ মে, ২০২২ ১৫:৫৩

হাজার মানুষের পদচারণায় মুখর ‘জয়বাংলা এভিনিউ’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

হাজার মানুষের পদচারণায় মুখর ‘জয়বাংলা এভিনিউ’

নড়িয়া বাঁধে দর্শনার্থীদের ভিড়।

পদ্মা নদীর ডান তীররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হয়েছে শরীয়তপুরের নড়িয়ার পদ্মা পাড়ের ১০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটা (ওয়াকওয়ে) পাকা সড়ক।  যার নাম রাখা হয়েছে ‘জয়বাংলা এভিনিউ’। আর এই বাঁধই এখন রূপ নিয়েছে দর্শনীয় স্থানে, প্রতিদিন ভিড় করছে জেলার হাজারো ভ্রমণপিপাসু।

পদ্মার ভয়াল ভাঙন রোধ করতে নির্মাণ করা ডান তীরের স্থায়ী বাঁধটি চলতি বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকেই প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ঈদ উপলক্ষে সেই ভিড় কয়েকগুণ বেড়েছে। ঘুরতে আসা অনেকেই ক্যামেরা ও মোবাইলে ছবি, সেলফি তুলে স্মৃতিবন্দি করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও  পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শফিকুল ইসলাম রাজীব  বলেন, ‘নড়িয়া তথা শরীয়তপুর পর্যটন বা ঘোরার স্থান খুবই অপ্রতুল। নড়িয়ার বেড়িবাঁধ ও ওয়াকওয়ে হওয়ায় দর্শনীয় ও পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তাই ঘুরতে এসেছি।’

গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘুরতে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা ওয়াকওয়েতে হেঁটে বা বাঁধের পাশে বেঞ্চে বসে; কেউ আবার নদীর তীরে  ফেলে রাখা ব্লকের ওপর বসে পদ্মার পানিতে পা ভিজিয়ে সময় পার করছেন। পদ্মায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত  দেখে অনেকেই এই ‘জয়বাংলা এভিনিউ’কে বলছেন মিনি কক্সবাজার। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব  জানান, পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় ‘জয় বাংলা এভিনিউর’ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। গত তিন বছরে নড়িয়ার পদ্মা পাড়ে একটি বাড়িও বর্ষায় ভাঙেনি।

নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিহীর চক্রবর্তী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রমত্ত পদ্মার ভাঙ্গন রোধ করে স্থায়ীভাবে তীর সংরক্ষণের পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে গড়ে তোলা হয়েছে ‘জয়বাংলা এভিনিউ’। ফলে এখন আর পদ্মা পাড়ে কান্নার শব্দ শোনা যায় না, শোনা যায় আনন্দ ধ্বনি।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মার ভাঙন রোধে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছেন বলেই আজ নড়িয়া ও জাজিরাকে নতুন পর্যটন এলাকায় পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।’

উল্লেখ্য, এক হাজার সাতশত কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা- নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় ১০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ করে ‘জয়বাংলা এভিনিউ’ নড়িয়া পর্যটন এলাকা করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর