২৯ মে, ২০২২ ০৯:৪২

বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ঘোড়া হত্যার অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ঘোড়া হত্যার অভিযোগ

ফাইল ছবি

ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট এলাকায় সিরাজুল ইসলাম নামের এক যুবক দেড় বছর ধরে ছয়টি ঘোড়া পুষছেন। এর মধ্যে একটি ঘোড়াকে মাঠে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) দুপুরে শহরের একটি শিশু পার্ক থেকে ঘোড়াটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। 

জানা যায়, দুইটি দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি চালান আর দুইটি দিয়ে গ্রাম্য ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা করে থাকেন সিরাজুল। অপর দুইটি ঘোড়া আস্তাবলে বাঁধা থাকে। তার ঘোড়ার গাড়ি ঝালকাঠিতে বেশ জনপ্রিয়। বিবাহ, শো-ডাউন, ঘুরতে যাওয়াসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দিয়ে পয়সা রোজগার করেন তিনি। গাড়ি যে দুইটি ঘোড়া দিয়ে টানা হয়, তার একটিকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নজরুল। এমনই অভিযোগ করেছেন ঘোড়ার মালিক সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজ বলেন, ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে ঘোড়াগুলো রাখতাম। তার পাশেই নজরুল নামের এক ব্যক্তির সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার রাতে আমার সাথে তর্ক হয়। তখন ওই নজরুল আমাকে ধমক দিয়ে বলেছে- আমাকে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবসা করতে দিবেনা, কি করে ঘোড়া পালি সেটা সে দেখিয়ে দিবে। 

সিরাজুল আরও বলেন, ঘটনার পরদিন শনিবার সকালে ঘোড়া দুইটিকে শিশুপার্কের মাঠে বেঁধে রেখে বাসায় যাই। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোড়া আনতে গিয়ে একটিকে মৃত অবস্থায় মাঠে পরে থাকতে দেখি। তখন ঘোড়াটির শরীরে পেটানো ও পায়ের রগ কাটার চিহ্ন দেখতে পাই। শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেনি।  

সিরাজুলের দাবি, তার ঘোড়াকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে  হত্যা করেছে তর্কে জড়ানো প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম। শনিবার বিকেলে প্রাণি হত্যার বিচারের দাবিতে মৃত ঘোড়াটিকে তিনি ভ্যান গাড়িতে তুলে সদর থানায় নিয়ে যান।  তিনি পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করে বলেন, নজরুল ইসলাম তার ঘোড়াটিকে হত্যা করেছেন। সদর থানা পুলিশের পরামর্শে সন্ধ্যা ৬টায় মৃত ঘোড়াটি পৌর কসাইখানা সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর পাড়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে সিরাজুলের ঘোড়া রাখার ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ঐ ঘরটির পাশেই অভিযুক্ত নজরুলের একটি গোয়ালঘর রয়েছে। প্রায়ই গরুর দড়ি না পেয়ে সিরাজুলকে দোষারোপ করতেন নজরুল।  ঘোড়া হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম বলেন, ঘোড়ার মৃত্যু সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা কারণ দেখিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, সিরাজুলকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে ঘোড়ার পোষ্টমর্টেম করতে হবে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর