বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ফসলি জমিতে জোরপূর্বক মৎস্য ঘের করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জমির মালিকরা। বুধবার বেলা ২টার দিকে তেলিগাতী ইউনিয়নের মিস্ত্রিডাঙ্গা গ্রামের ভুক্তভোগী জমির মালিকরা তাদের জমির পাশে এই বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তারসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর অভিযোগ, মিস্ত্রিডাঙ্গা এলাকার দুইশত বিঘা জমি দখল করে কয়েক বছর ধরে ঘের করছেন পাশের পঞ্চকরণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মজুমদার ও তার অনুসারীরা।
এই ঘের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে দখল করে নেওয়া জমিতে লবণ পানি তুলে চিংড়ি মাছের চাষ করে থাকেন। ঘের সংলগ্ন ওয়াবদার বেড়িবাঁধ, সরকারি রাস্তা ও খালও এই ঘের ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। তাদের সুবিধা অনুযায়ী রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে পানি ওঠানামা করানো হয়। ফলে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। জমির মালিকরা টাকাও পাচ্ছে না। পারছেন না একাধিক ফসল ফলাতেও।জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের জমি দখলমুক্ত করার দাবিতে বুধবার দুপুরে মিস্ত্রিডাঙ্গা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে জমি দখলমুক্ত করাসহ তাদের বিচার দাবি করেন তারা।
তেলিগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খান জালাল আহমেদ লাল, ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আব্দুল বারেক হাওলাদার, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয় কুমার মণ্ডল, ফনিভূসন, আব্দুল মান্নান আকন, অমল হালদার, জামেনা বেগম, আলীম খানসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি এলাকার নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কারণে কৃষকরা ধান ফলাতে পারছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ওই ঘেরে আমাদেরও ১২ বিঘা জমি রয়েছে। আমরা কারও জমি জোরপূর্বক দখল করিনি। ঘেরে অন্য যাদের জমি রয়েছে, তাদের নিয়মিত টাকা দিয়েই ঘের করছি।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই