৩ জুন, ২০২২ ১৯:৫১

রৌমারীতে আলোচিত শালু হত্যার রহস্য উদঘাটন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

রৌমারীতে আলোচিত শালু হত্যার রহস্য উদঘাটন

সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আলোচিত শালু হত্যার দীর্ঘ তিন মাস পর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়।

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, শালু মিয়া ছিলেন ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের মাদক পরিবহনকারী। শালু ৫ থেকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা বহন করতে গিয়ে সেগুলো আত্মসাতের চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রৌমারীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন তার সহযোগী খয়বর আলী ও জিয়াকে নিয়ে শালুকে হত্যা করে। এরপর লাশ বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সদর সার্কেল জিয়াউর রহমান, উলিপুর সার্কেল মাইদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুকসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ার চরের মৃত চান মিয়ার ছেলে শালু নিখোঁজ হয়। অভিযোগ উঠেছিল একই এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির মেম্বার শালুকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার স্ত্রী রেজেকা বেগম বাদী হয়ে ২৯ এপ্রিল জাকির মেম্বার, খয়বর আলী ও জিয়ার নামে এজাহার দায়ের করে।

পরে পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় জাকির মেম্বারকে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য ধরে সহযোগী খয়বর আলীকে ঢাকার গাজীপুর কোনাবাড়ী থেকে এবং জিয়াকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জিঞ্জিরাম নদীর পূর্ব পাড়ে জাকির মেম্বারের পতিত জমি থেকে মাটিচাপা অবস্থায় শালুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর