৭ জুন, ২০২২ ১৬:৫১

কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, পরিষদের নাগরিক সেবা বন্ধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, পরিষদের নাগরিক সেবা বন্ধ

ইউনিয়ন পরিষদ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ৪ নম্বর চরকাঁকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ ও ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে পরিষদের সকল নাগরিক সেবা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।

এতে করে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সাধারণ সেবা প্রার্থী নাগরিক চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তবে ইউপি সদস্যরা বলছে, তাদের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ইউনিয়ন কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা থেকে সকল ইউপি সদস্য নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধের এ ঘোষণা দেন। 

হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন শাহেদ, ইউপি সদস্য দিদার হোসেন সৌরভসহ সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যরা।

২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সভায় সকল ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ (৫০) ও ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকনের (৪৫) ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সাথে হামলাকারীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের সকল নাগরিক সেবা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে শপথ নেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনলে আমাদের সিন্ধান্ত বহাল থাকবে। অনেক ইউপি সদস্য হুমকিতে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যানের উপর হামলাকারীরা কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাদের ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায় না।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেছি। ইউপি সদস্যরা কার্যালয়ে নেই। এছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম সচল রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ইউপি সদস্যরা দাবি করছে, তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বিষয়ে ইউএনও’র সাথে কথা বলতে বলেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, এখানে কয়েকটি ছেলের সাথে মেম্বারের ভাইয়ের বিরোধ হয়েছে। তারা জেল থেকে এসে এই হামলা করেছে। তারা এই ঘটনায় হানিফ সবুজ (চেয়ারম্যান) ছাড়াও আমার দলীয় এক মেম্বারকেও আহত করেছে। আমি পুলিশকে বলে দিয়েছি, যারা এই ঘটনা করেছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লা বাড়ির সামনের সড়কে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারীরা তার ওপর হামলা চালায়। মো. হানিফ সবুজ উপজেলার ৪ নম্বর চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

হানিফ সবুজ অভিযোগ করে আরও বলেন, হামলাকারী আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজ ও তার ভাই রনিসহ প্রদীপ, দুলাল, সাইফুল ইসলাম, লাভলু মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী। তাদের দেখে আমি উল্টো পথে বাড়ি যাওয়ার পথে বিল্লা বাড়ির সামনে আমার গতিরোধ করে আমার ওপর হামলা চালায় তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের মির্জার অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফখরুল ইসলাম সবুজ ও ইউপি সদস্য মো. ওমর ফারুক সবুজ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দাবি করেন, তারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত নেই।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর