১০ জুন, ২০২২ ২০:০৭

শেরপুরে উজানের পানি কমলেও আছে শঙ্কা

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে উজানের পানি কমলেও আছে শঙ্কা

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে উপজেলা সদর থেকেও পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এই পানি গড়িয়ে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে নিম্নাঞ্চল দিয়ে পানি নেমে যাচ্ছে। ফলে ওইসব এলাকা প্লাবিত মনে হচ্ছে।
 
পানি দ্রুত না সরলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে চাষিরা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ মেট্রিক টন চাল ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। কৃষির কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয় তা নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগকে ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পানি নেমে যাওয়া অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য কাচাপাকা রাস্তা ভেঙে গেছে।

এদিকে আজ শুক্রবার দুপুরে বানের পানিতে ডুবে সদর ইউনিয়নের সারি কালিনগর (বালুর চর) এলাকায় দিয়ামনি নামের এক বছর ২ মাস বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
 

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উজানে ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের শেরপুরের ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী এবং নালিতাবাড়ির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহারশি, ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পায়। ভোর ও সকালের দিকে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঝিনাইগাতি উপজেলা সদরের বিভিন্ন কার্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়ি এবং বিভিন্ন সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়।

এতে ব্যাপক ভোগান্তি হয়। এঘটানার পর থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা সদরের পানি নামতে শুরু করলেও ভারতের মেঘালয় ও আসামে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় মেঘালয়ের পাহাড় ও আসামের সাথে সংযুক্ত অন্তত তিনটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঢলের পানির বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী শাহাজাহান মিয়া জানায়, ঝিনাইগাতি এলাকাটি ভারতের মেঘালয়ের নীচেই অবস্থতি। গত বুধবার ১৫০ মিলিমিটার রেকর্ড পরিমানের বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওই বৃষ্ঠির পানি দুই দেশের সংযুক্ত নদীতে নেমে আসলে এই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পানি কমতে শুরু করেছে। মেঘালয় থেকে নেমে  আসা ঝিনাইগাতি উপজেলার মহারশি নদী তুলনামূলক ভাবে চাপা হওয়ায় উজানের পানির চাপ ধরে রাখতে পারে না। ফলে প্রতি বছরই বাঁধ ভেঙে এই অবস্থার সৃষ্ঠি হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রায় আড়াই মিটার পানি নদীতে  নেমে গেছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে এই কর্মকর্তার ধারণা।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধ অঞ্চলের লোকজনের। আবহাওয়া এই অবস্থায় থাকলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

সর্বশেষ খবর