১৮ জুন, ২০২২ ১৭:১৯

ডিজিটাল জনশুমারিতে খুশি ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ

ঠাকুরগাও প্রতিনিধি

ডিজিটাল জনশুমারিতে খুশি ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ও বিভিন্ন কারণে কয়েক দফায় পেছানোর পর সপ্তাহব্যাপী শুরু হয়েছে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২। সপ্তাহব্যাপী এ শুমারি চলবে ১৫-২১ জুন পর্যন্ত। এটি দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি। দেশের মোট জনসংখ্যা কত, তা জানতেই মূলত রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ডসহ ভাসমান মানুষ গণনাসহ তাদের সম্পর্কে মৌলিক জনমিতিক, আর্থ-সামাজিক ও বাসগৃহসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে জনশুমারি। তবে এবারের শুমারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস।

জানা যায়, ডিজিটাল এ শুমারি বাস্তবায়নে সারাদেশে একযোগে তথ্য সংগ্রহের জন্য তিন লাখ পঁচানব্বই হাজার ট্যাব ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গাজীপুর কালিয়াকৈরে স্থাপিত বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড এর টায়ার আইভি সিকিউরিটি সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টা ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠপর্যায় থেকে বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে আসার পূর্ব পর্যন্ত সংগৃহীত সকল তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

প্রথমবারের মতো ডিজিটাল জনশুমারিতে আনন্দের হাসি ফুটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষের মুখে। স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের সকল তথ্য দিতে পেরে ভোগান্তিহীন জনশুমারিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। অপরদিকে স্বল্প সময়ে অনেক পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করতে পেরে কাজে মনোযোগ বেড়েছে শুমারি কর্মীদের।

তথ্য সংগ্রহকারী শুমারিকর্মীরা বলেন, জনশুমারি করার আগে আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি। কীভাবে আমরা ডিজিটাল ডিভাইসে তথ্যযুক্ত করব তা শেখানো হয়েছে। কোনো প্রকার ভোগান্তি ও ঝামেলা ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমরা সকল তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারছি। এতে সাধারণ মানুষেদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না আমরাও কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। এবারে খুব সহজে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আমরা স্বল্পসময়ে তথ্য যোগ করতে পারছি।

তথ্য প্রদান করার পর বেশ কয়েকজন জানান, এর আগে কয়েকবার জনশুমারিতে তথ্য দিয়েছি। তথ্যগুলোতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লেগে যেত। আর নানান ধরনের কাগজ লাগতো। আজকে মাত্র কয়েক মিনিট সকল ধরনের তথ্য দিয়ে দিলাম। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই। এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়।

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মো. রব্বানী বলেন, চলমান জনশুমারিতে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৪৭৮টি ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরো জেলা জুড়ে ৩৪৭৮জন শুমারিকর্মী, ৬০৪ জন সুপারভাইজার ও ৩৫ জন জোনাল অফিসার কাজ করছেন। এবারেই প্রথম ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জনশুমারি হচ্ছে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে করে শুমারিকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর