২৩ জুন, ২০২২ ১৯:২৪

সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ, ৮৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ, ৮৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৪০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 

বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধির ফলে অরক্ষিত অঞ্চল শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে প্রতিদিন ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব মানুষ অসহায়ের মতো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অন্যদিকে, সরকারি বরাদ্দের চাল এখনো বন্যা দুর্গত এলাকায় পৌঁছায়নি। বন্যা কবলিতদের জন্য ১৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ২৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান জানান, জেলার ৫৬৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩৮হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে। বন্যাকবলিতদের মাঝে ১৪০ মেট্টিন টন চাল ও ৬ লাখ টাকা ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, যমুনা নদীর পাশাপাশি আভ্যন্তরীন নদনদীরপানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তীল, মরিচ, বাদাম, বোনা আমন, শাকসবজি ও বীজতলাসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। 

জেলা শিক্ষা অফিসার শফীউল্লাহ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, ৮৪টি বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায়  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। যে পরিমাণ পানি বেড়েছে তাতে এটা স্বাভাবিক বন্যা। প্রতি বছরই এমন বন্যা হয়ে থাকে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বক্ষনিক নদী তীর সংরক্ষন এলাকাগুলো তদারকির মধ্যে রেখেছে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর