মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ফেনীর চার উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের জমির দলিল ও নির্মাণকৃত গৃহসসূহের চাবি প্রদান কর্মসসূচির উদ্বোধন করেন। 

ভূমিহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে- ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজী। 

উদ্বোধনের সময় অপরপ্রান্ত ফেনীতে উপস্থিত ছেলেন ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান, ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়া অং প্রু মার্মা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ খোন্দকার প্রমুখ।

এদিকে ঘর পেয়ে আনন্দের জোয়ার বইছে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে আশ্রয় পেয়ে আবেগাপ্লুত তাদের অনেকেই। নাজমুল হক নামের একজন বলেন, “আগে আমাদের অনেকে যাযাবর বলতো, এখন আমাদের বাড়ি আছে।”

সাহার খাতুন বলেন, “এতোদিন তাদের মাথা গোঁজার ঠাই ছিল না, কেউ রেল স্টেশনে, কেউ ফুটপাতে ও কেউ ঘর ভাড়া করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতাম। ঘর পেয়ে তারা এখন উন্নত জীবন-যাপন করবেন।”

প্রথম ধাপে ঘর পাওয়াদের মধ্যে সখিনা খাতুন বলেন, “তারা নিজেদের ঘরের আঙ্গিনায় বাগান করছে, হাঁস-মুরগি পালন করছে। তারা তা খাচ্ছে ও বিক্রি করছে। করছে অন্যান্য কাজও।”
দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার দলিলসহ গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে ফেনী সদর উপজেলায় ২২টি, সোনাগাজী উপজেলায় ২০০টি, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২টি, দাগনভূঞা উপজেলায় ১৬৬টি, পরশুরাম উপজেলায় ১৯টি, ফুলগাজী উপজেলায় ২৪টি  ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে। এর আগে প্রথম দফায়ও জেলায় ৮৩২টি পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হয়। 

ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ- উল হাসান জানান, পরবর্তীতে দাগনভূঞা ও সোনাগাজীর আরও একশ’ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হবে। ঘরগুলো হস্তান্তরের পর পুরো ফেনী জেলা গৃহহনীন মুক্ত হবে। তারপরও কেউ যদি নতুন করে গৃহহীন হয় বা নতুন করে আবেদন করে তাহলে পর্যায়ক্রমে তাদেরও ঘর দেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম