৬ আগস্ট, ২০২২ ১৯:০২
পানি নিষ্কাশনের দাবিতে মানববন্ধন

বাড়ছে কাউয়াদিঘী হাওরের পানি, আমন চাষাবাদে অনিশ্চয়তা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

বাড়ছে কাউয়াদিঘী হাওরের পানি, আমন চাষাবাদে অনিশ্চয়তা

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

জলাবদ্ধতা থেকে হাওরে উৎপাদিত বোরো ফসল রক্ষা এবং বর্ষা মৌসুমে হাওরের বর্ধিত পানি বের করে হাওর সংলগ্ন এলাকায় আমন জমিতে চাষাবাদ উপযোগী করতে ১৯৮৩ সালে কুয়েত এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে জেলার রাজনগর উপজেলায় কাশিমপুর পাম্প হাউজ স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকে কাউয়াদীঘি হাওরে বোরো ও আমন চাষাবাদ অব্যাত ছিল। 

এক পর্যায় কয়েকটি মেশিন নষ্ট হয়ে গেলে ২০১৯ সালে একনেকের বরাদ্দকৃত ৮৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাম্পটি পুনরায় সংস্কার করে সচল করা হয়। যার ফলে বিগত বছর গুলোতে আমন মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছিল। এতে জেলায় আমনের উৎপাদন লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না করায় পাম্পটি কৃষকের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। 

এদিকে, চলতি বছর পাম্পটি হাওরের পানি নিষ্কাশন না করায় দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্বতা দেখা দেয় কাউয়াদীঘি হাওর তীরবর্তী সদর উপজেলার একাটুনা, আখাইলকুড়া ও রাজনগর উপজেলার ফতেপুর, উত্তরভাগ, পাঁচগাঁও এবং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা আমন জমিতে। জলাবদ্ধতার কারণে আমন চাষাবাদে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে কৃষকদের হাজার হাজার একর জমি।

স্থানীয়রা বলছেন কাশিমপুর পাম্প নির্মান করা হয়েছিল আমাদের উপকারের জন্য। কিন্তু পাম্প কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাষণ না করায় পাম্পটি এখন আমাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হাওর তীরবর্তী রাজনগর উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমানসহ অনেকেই বলেন, জমিতে পানি থাকার কারণে এখনও চারা রোপন করতে পারি নাই। চারার অতিরিক্ত বয়স হয়ে যাচ্ছে। সময় মতো চারা রোপন না করতে পাড়লে আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হব। কৃষকরা আরও বলেন, কাশিমপুর পাম্প কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আমন চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এদিকে, হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও ভুরভুরি ছড়ায় অপরিকল্পিত সেতু অপসারণের দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার পৌর শহরের চৌমুহনীতে মানববন্ধন করেছে হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি মৌলভীবাজার জেলা। হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনুর সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি’র জেলার সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক সরওয়ার আহমদ, কমিউনিস্ট পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাসুক মিয়া, হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, জেলা শাখার সদস্য খচরু চৌধুরী, এডভোকেট আবুল হাসান, মুহিবুর রহমান খান, ময়নুল ইসলাম, মাস্টার সামছুদ্দিন, ডা.ফরিদ উদ্দিন, দৈনিক যুগান্তর মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য রেহনুমা রুবাইয়াৎ, জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, হাওর পাড়ের কৃষক মাসুদ আহমেদ, সোনা মিয়া ও মাফিক মিয়া।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) এম এ হান্নান খান বলেন, বিদ্যুৎয়ের যোগান অনুযায়ী মেশিন চলছে। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর