৬ আগস্ট, ২০২২ ১৯:১৮

পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান কলেজছাত্রীর

বরগুনা প্রতিনিধি

পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান কলেজছাত্রীর

ফাইল ছবি

বরগুনার তালতলীতে পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে গত ১৫ দিন ধরে অবস্থান নিয়েছেন বরিশাল হাতেম আলী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের  শিক্ষার্থী কারিমা আক্তার। কারিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক সৌদি প্রবাসী একই উপজেলার রাসেলের। গত ৩১ মে রাসেল সৌদি আরব থেকে দেশে আসে। এরপর গত ৭ জুলাই বরগুনায় আ্যাড. আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে এফিডেফিট করে কারিশমাকে বিয়ে করে।

কারিমা  জানান, নয়াভাইজোড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সৌদি প্রবাসী রাসেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে বিভিন্ন সময় তার কথাবার্তা হয়। এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় তাদের সম্পর্ক চলে। এরপর বিদেশ থেকে গত মে মাসের ৩১ তারিখ রাসেল বাংলাদেশে আসে। ভালোবাসা আর প্রেমকে প্রতিষ্ঠিত করতে জুন মাসের ৭ জুলাই বরগুনা  জেলা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি বিয়ে হয় তাদের। বরগুনা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অবকাশ যাপন করেন তারা। ২১ জুলাই তার স্বামী রাসেল  বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ অভিবাবকরা তাকে মারধর করে বলে জানায়। মারধরের পর থেকেই তার স্বামী নিখোঁজ রয়েছে। তার সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত সে শ্বশুরবাড়ি থেকে  যাবেনা বলে জানায়।

রাসেলের বাবা আনোয়ার হোসেন  বলেন, কোনভাবেই ঐ মেয়েকে তার পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। মেয়েটির একটি পা নেই, সে প্রতিবন্ধী তাতেও কোন সমেস্যা নয়। সমস্যা হলো মেয়েটির সাথে কয়েকটি ছেলের ছবি আমরা দেখেছি। আর ঐ মেয়েটিকে আরও একটি ছেলে তার স্ত্রী বলে আমাদের কাছে দাবি করছে। তাহলে এই মেয়েকে আমরা কিভাবে আমার ছেলের পুত্রবধূ হিসেবে মানবো? অন্য ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের ছবি দেখে রাসেল ১ আগস্ট অভিমান করে আবার বিদেশে চলে গেছে। তাই এই মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে মানা অসম্ভব।  

এদিকে, স্বামীর পরিবারের অমানবিক নির্যাতন সহ্য করে কারিমা এখনও রাসেলের বাড়িতে অবস্থান করছে।  ঘটনাটি আপোষ মীমাংসা করার নামে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ৫০/৬০ হাজার টাকায় রাসেলের বাবার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নয়াভাইজোড়া গ্রামে। পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নেয়া মেয়েটি একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের ইউনুচ মৃধার মেয়ে। 

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোন অভিযোগ পাইনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর