১১ আগস্ট, ২০২২ ১৩:২০

ভুল চিকিৎসায় স্কুল শিক্ষার্থীর সারা শরীরে কালো ফোস্কা পড়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ভুল চিকিৎসায় স্কুল শিক্ষার্থীর সারা শরীরে কালো ফোস্কা পড়ার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

পেটের পীড়াজনিত সমস্যায় বাগেরহাটে বেসরকারি হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েছে এক স্কুল শিক্ষার্থী। তার নাম ইমরান শিকদার। গত ১০ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বেলফার হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন সে। এরপর সারা শরীরে কালো ফোস্কা পড়া ও শ্বাস কষ্টসহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৬ জুলাই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে সে।

চিকিৎসায় অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগ (Anleptsc cr 200mg) ব্যবহার করায় এ অবস্থা হয়েছে বলে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা স্বজনরা।

রোগীর ভাই ইয়াসীন শিকদার জানান, সময়মতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে না পারলে মৃত্যু ঝুঁকি ছিল। বর্তমানে তার সারা শরীরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত কালো ফোস্কা ছড়িয়ে পড়েছে। 

তিনি বলেন, পেটের পীড়া ও গ্যাস জনিত সমস্যা নিয়ে হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে চিকিৎসক বেলফার হোসেনের কাছে গেলে তিনি আমার ভাইয়ের মানসিক সমস্যাও আছে দাবি করে চিকিৎসায় অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগ ব্যবহার করেন। এতে সে ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর শরীরে কালো ফোস্কা একটু কমেছে। কিন্তু সারা শরীরে কালো দাগ ও তীব্র ব্যথা রয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে তার শারীরিক ও মানসিক বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছি।

এ বিষয়ে হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. বেলফার হোসেন বলেন, পেটের পীড়া ও গ্যাস জনিত সমস্যায় আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থীর কিছুটা মানসিক সমস্যাও ছিল। সে অন্যমনস্ক থাকতো। এ অবস্থায় ধীরে ধীরে ড্রাগের মাত্রা বাড়িয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেছি। তবে কোনও প্যাথলজি পরীক্ষা ছাড়াই তিনি এ চিকিৎসা করেছেন বলে স্বীকার করেন।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর