২০ আগস্ট, ২০২২ ১৮:১২

তুচ্ছ ঘটনায় লাথিতে অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত!

বরগুনা প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনায় লাথিতে অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত!

বরগুনার তালতলীতে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফাতেমা আক্তার (১৯) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মারায় তার গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে ফাতেমার শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী মনির নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ফাতেমার স্বামী সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে তালতলী থানায় মনিরের বিরুদ্বে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শনিবার (২০ আগস্ট) ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবার সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট উপজেলার নিশানবাড়ী ইউনিয়নের এলাকায় জমিতে মাঠকাটা নিয়ে মনিরের সাথে সোহরাব ও তার স্ত্রীর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনির ফাতেমার পেটে সজোরে লাথি মারলে মাঠিতে পড়ে যায়। 

জানা গেছে মৃত চানু মিয়ার পুত্র মনিরের সাথে সোহরাব হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ১৮ অগাষ্ট বিকেলে সোহরাবের স্ত্রী ফাতিমা আক্তার বাড়ির পাশে জমিতে মাটি কাটতে যায়। এনিয়ে মনিরের সাথে তাদের মধ্যে কথা কাটকাটি  এক পর্যায়ে তাদের মারামারি হয়। মনির বসে মাটিকাটারত ফাতেমার পেটে লাথি মারে। সঙ্গে সঙ্গে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে এবং রক্তপাত  শুরু হয়। তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শনিবার (২০ আগষ্ট)   অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমার গর্ভপাত হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী সোহরাব হোসেন বলেন, মনির জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে আমাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা চালায়, আমার স্ত্রী বৃহস্পতিবার জমিতে মাটি কাটতে গেলে মনিরসহ আরো ১৫/২০ জন মিলে আমার স্ত্রীকে মারধর করে। 
অসুস্থ অবস্থায় আমার স্ত্রীকে থানায় নিয়ে গেলে তারা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। হাসপাতালেই আমার স্ত্রীর গর্ভপাত হয়।

মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মনির বলেন, তারা ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে।

তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা. খোশনূর রাব্বি বলেন, অসুস্থ অবস্থায় ঔ নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পরে মোটামুটি সুস্থ ছিলো। পরের দিন ঔ নারীর হঠাৎ গর্ভপাত হয়। 

তিনি আরও বলেন, প্রচন্ড আঘাতের কারনেও গর্ভপাত হতে পারে বা নরমালি গর্ভপাত হতে পারে। তবে কোনো কারণে হয়েছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারপরে বলা যাবে।

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে মারধরের একটি অভিযোগ থানায় দেওয়া হয়েছে। তবে গর্ভপাতের কোনো অভিযোগ থানায় এখনো পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর