২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৫২
খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

৮ মাসে ৮৭৭ নরমাল ডেলিভারি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

৮ মাসে ৮৭৭ নরমাল ডেলিভারি

দিনাজপুরে চলতি বছরের গত ৮মাসে ৮৭৭জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করেছে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আর এটি সম্ভব হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ সবার টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বললেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শামসুদ্দোহা মুকুল। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতি মায়েদের রক্ষা এবং নিরাপদে নরমাল ডেলিভারি করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ একসাথে কাজ করেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে প্রসূতিদের উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণায় তারা বিভিন্ন কৌশলও কাজে লাগিয়েছেন তারা। এজন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রসূতি নারীদের বিনামূল্যে ‘প্রসূতি কার্ড’ দেয়া হয়। এরপর ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত চলে কাউন্সেলিং আর ফ্রি চেকআপ। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরাও নিজেরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কাউন্সিলিং প্রদান করেন। এছাড়াও হটলাইনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরামর্শ, বিনামূল্যে ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের আগ্রহী করা হয়।

খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৭টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। গত ২০২১সালে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ১৩৮০টি। অন্যদিকে প্রসব পূর্ববর্তী এএনসি সেবা নিয়েছে ৪৩১১জন এবং প্রসব পরবর্তী পিএনসি সেবা নিয়েছে ১৫১১জন। যার ফলে গত ৩ বছর ধরে স্বাস্থ্য সেবায় বিভাগের ২য় ও ৩য় ও জেলার প্রথম হয়েছিল খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়াও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ওআরটি কর্নার, অটিজম কর্নার, এএনসি ও পিএনসি এবং কেএমসি কর্নার চালুর মাধ্যমে হাসপাতালটিকে শিশুবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসবের উদ্যোগ সফলতা লাভ করায় এটি রংপুর বিভাগে মডেল হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

নরমাল ডেলিভারি হওয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নুরনাহার, গোয়ালডিহি গ্রামের রেজিনা খাতুন জানান, শুরুতে ভয় লাগলেও মাঠকর্মী ও চিকিৎসকদের সাহসে হাসপাতালে নিরাপদে স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। এতে যেমন খরচ বাঁচলো অন্যদিকে প্রসবকারী মা সুস্থ থাকল।
 
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শামসুদ্দোহা মুকুল জানান, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে এবং হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ করতে দক্ষ মিডওয়াইফরা আছে যার ফলে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে এবং নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ হাসপাতালে নিরাপদে ডেলিভারি করানো হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে না, পাশাপাশি অর্থও ব্যয় হয় না। পুরো উপজেলার গর্ভবতী মায়েদের ডাটাবেজের মাধ্যমে সরাসরি ও মোবাইল ফোনে খোঁজ-খবর নেওয়া হয় এবং প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী চিকিৎসা ও পরমার্শ প্রদান করা হয়। তিনি আরো জানান, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার পর সমাজ সেবা অধিদফতরের সহযোগিতায় জন্ম নেয়া শিশুর জন্য জামা-কাপড়, মশারি ও ওই শিশুর মাকে উপহার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর