৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:১৬

বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আহত ৩৫

ফরিদপুর প্রতিনিধি

বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আহত ৩৫

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সমাবেশের শুরুতে হামলায় পণ্ড হয়েছে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালি ও সমাবেশ। রবিবার বিকালে র‌্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশের আয়োজন করলে সেখানে যুবলীগ সমাবেশের ঘোষণা দিলে দিনভর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপি তাদের কর্মসূচি শহরের আদালত পাড়া এলাকায় পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। 

বিকাল চারটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালত পাড়ায় জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল সমাবেশ স্থলে আসার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফের নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশ স্থলে আসার পর পুলিশ সেখান থেকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপনকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেবার চেষ্টা চালায়। 

এ সময় কৃষক দলের নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ কয়েকজন স্বপনকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে সেখানে মোটরসাইকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। হামলার সময় উভয় পক্ষের মাঝে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়। যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আইনজীবী সমিতির ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে হামলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানো হয়। 

হামলায় আহত হন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সদস্য সচিব একে এম কিরবিয়া স্বপন, মহিলা দলের নেত্রী নাজরিন রহমানসহ ৩৫ নেতা-কর্মী। আইনজীবী সমিতিতে আটকে পড়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। আইনজীবী সমিতির প্রবেশের লোহার গেট ভাঙার চেষ্টা চালায় হামলাকারীরা। পুলিশ এসময় তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে বিএনপির সমাবেশ স্থলেই সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। সমাবেশ থেকে বিএনপি-জামাত জোটকে রাজপথে মোকাবেলা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।   

এদিন বিকাল ৫টার দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির নেতারা।  আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর নির্বিচারে হামলা চালায়। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর