২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০১:০৩

নারী চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নিরাপত্তা প্রহরী গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নারী চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নিরাপত্তা প্রহরী গ্রেফতার

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তা প্রহরী আশরাফ উদ্দিনের (৫০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বিকাল পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরে অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরীকে গ্রেফতারের পর কাজে যোগদান করেন তারা।

এর আগে গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একত্রিত হয়ে ওই নিরাপত্তা প্রহরীকে দফায় দফায় মারধর করে। এরপর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

হেনস্তার শিকার ওই নারী চিকিৎসক সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে রবিবার রাতে পুলিশ তাকে জেনারেল হাসপাতাল থেকে আটক করে সুধারাম থানায় নিয়ে আসে। সোমবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। 

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ রাতেই হাসপাতাল পরিদর্শন করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হয়। 

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. অনিক বিশ্বাস বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে একজন নারী চিকিৎসককে হাসপাতালে শারীরিক ভাবে হেনস্তা করা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হাসপাতালে নারী চিকিৎসকরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দায়িত্ব পালন করছে। ডিউটি ডাক্তারের রুম থেকে রাতের বেলায় অন্যান্য ওয়ার্ডে যেতে সড়কে বাতি থাকে না। এ সময় বহিরাগত বখাটেরা হাসপাতালের বিভিন্ন সড়কে মাদক সেবন করে এবং নারী চিকিৎসকদের উত্যক্ত করে। তাই নারী চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, ডিউটি ডাক্তারের কক্ষে টয়লেট ও পর্যাপ্ত ফার্নিচারের ব্যবস্থা করা এবং তাদের ইন্টার্নশিপ ভাতা প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানান।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওই ঘটনার পর হেনস্তাকারী নিরাপত্তা প্রহরীকে পুলিশে সোপর্দ ও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নারী চিকিৎসকের অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর