যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ হাসান আলী ও মাসুদ নামে দুই তরুণকে আটক করেছে। ধর্ষণে জড়িত আরও তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বজনরা জানান, ওই তরুণীর মা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ফলে বাড়িতে ওই তরুণী ছাড়া আর কেউ ছিল না। এ সুযোগে বুধবার রাত ১১টার দিকে হাসান আলী ও তার বন্ধু মাসুদ ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। এ সময় নুরুজ্জামান, সাকিব ও নাসিম মোবাইল ফোনে তার ভিডিও ধারণ করে। পরে এই তিনজনও ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি টের পেলে স্থানীয় লোকজন হাসান আলী ও মাসুদকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে অন্য তিনজন পালিয়ে যায়।
আটক হাসান আলী (২০), নিজামপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী শাহাজাহান মল্লিকের ছেলে। আর মাসুদ (২০) একই গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। হাসান ও মাসুদকে এ মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। ওসি বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে পুলিশ প্রহরায় পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার পর মেয়েটির জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য যশোর আদালতে ও পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পলাতক তিনজনকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান ওসি।বিডি প্রতিদিন/এএ