পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রবারণা উৎসবে রঙ বে-রঙের ফানুসে রাতের আকাশে বর্ণিল হয়ে উড়বে। আগামীকাল রবিবার সকালে বিহারগুলেতে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ প্রবারণা উৎসব শুরু হবে। এ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন রাখাইন পল্লীতে বিরাজ করছে উৎসবের পরিবেশ। আর বিহারগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। প্রতিটি বাড়িতে বানানো হচ্ছে বিন্নি চালের হরেক রকম পিঠাপুলি। রঙ বেরঙের কাগজ এবং বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বানানো ফানুস একের পর এক ওড়ানো হবে রাতের আকাশে। এমনই প্রস্তুতি নিয়েছে রাখাইন সম্প্রদায়।

কলাপাড়ায় রাখাইনরা ২৩টি পল্লীতে এ উৎসব একযোগে পালন করবে। আষাঢ়ী পূর্ণিমাতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাব্রত শুরু হয়ে কার্তিকের এ পূর্ণিমাতে শেষ হয়। এ সময় বৌদ্ধ বিহারগুলোতে গৌতম বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এ প্রবারণা পূর্ণিমা। এই দিনে গৌতম বুদ্ধ ধর্ম প্রচার শুরু করেন। প্রতি বছর এই সময়ে আকাশে ফানুস উড়িয়ে এবং ধর্মীয় নানা আয়োজনের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধকে স্মরণ করা হয়।
 
গোড়া আমখোলা পাড়ার রাখাইন তেননান বলেন, প্রবারণা উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে বিশেষ আর্কষণ ফানুস উড়ানো। এটি অন্য ধর্মালম্বীর মানুষও উপভোগ করেন। বিভিন্ন প্রকার ফানুসের মধ্যে রয়েছে, মালা ফানুস, প্যারাসুট ফানুস, তারা ফানুস, পঞ্চমুখী ফানুস ও লতা ফানুস। একেকটি ফানুস তৈরিতে অন্তত এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। রাখাইন সম্প্রদায়ের নর-নারীরা এ ফানুস গুলো তৈরি করেন।

অং হেলথ্ এন্ড এডুকেশন ডেভেলমেন্ট ফাউন্ডেশন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশে কৃষক লিগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নিউ নিউ খেইন বলেন, ফানুস এখন সার্বজনীন উৎসব। সকল ধর্মের লোকজন এ উৎসবে মিলিত হয়ে আনন্দ পায়।

মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে রাখাইন পাড়াগুলোতে পুলিশের টহল অব্যাহত রায়েছে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারের ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল