৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:১৭

সোনাইমুড়ীতে সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড, আহত ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি

সোনাইমুড়ীতে সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড, আহত ৫

সোনাইমুড়ীতে সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে জয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। এতে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার জয়াগ কলেজে শিক্ষক মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, জয়াগ মহাবিদ্যালয় হলরুমে সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহীম ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাদের আসতে দেরি হওয়ায় সকাল ১০টায় সম্মেলনের পতাকা উত্তোলন করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের ও সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু। তারা সম্মেলনের পতাকা উত্তোলন করলে একপক্ষ হট্টগোল সৃষ্টি করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সম্মেলনস্থলে আসেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহীম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন ও সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান সমন্বয়ক ফুয়াদ হোসেন।

একপর্যায়ে শিক্ষক মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা প্রবেশ করে অতিথিদের সম্মেলনে যোগদান করার আহ্বান জানান। তখন সম্মেলনে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি আসার আগে পতাকা উত্তোলন করার কারণ জানতে চাইলে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন শিক্ষক মিলনায়তন থেকে বের হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। এক সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম বলেন, সম্মেলনে আসতে দেরি হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু করেছে। একপর্যায়ে একপক্ষ হ্ট্টগোল সৃষ্টি করে সম্মেলনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই পক্ষের সভাপতি পদে কোনো প্রার্থী ছিল না। সবাই আমার প্রার্থী ছিল। তাই তারা চেয়েছিল সম্মেলন স্থগিত হোক, এজন্য তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আসলে তাদের কোনো অবস্থান নেই। পরে সম্মেলন স্থগিত হয়েছে।

সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের বলেন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার ক্ষমতা হলো আমার। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সংশ্লিষ্ট জেলা, থানা, ইউনিয়ন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। পরে স্থানীয় এমপি এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, একপক্ষ আসতে দেরি হওয়ায় আরেক পক্ষ পতাকা তুলতে চাইলে এটা নিয়ে মতবিরোধ হয়। তিনজন আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। তবে পরে সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর