১৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:১৬

হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা সভা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা সভা

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও সুশৃঙ্খল করে জনগণের সার্বিক জীবন মান বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জ পৌরসভার সভাকক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) উক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি মো. ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম।

সভায় বেলার পক্ষ থেকে বলা হয়, হবিগঞ্জ পৌরসভায় প্রতিদিন ৩৫ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে মনুষ্য বর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য ও চিকিৎসা বর্জ্য আছে। গৃহস্থালির বর্জ্য প্রতিটি বাসা বাড়ি থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীর মাধ্যমে আবর্জনা সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ডাস্টবিনে ফেলা হয়। ৯টি ওয়ার্ডে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য ৭১টি যানবাহন  আছে। এর মধ্যে ট্রাক, ভ্যান, রিক্সা ট্রলি, ব্যাটারি চালিত পিকআপ রয়েছে। দিনের শুরুতেই বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রাইমারী ডাম্পিং স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়। মেডিকেল বর্জ্য হয় পৌরশহরে অনুমোদিত ৩৪টি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। এসব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলে। 

সভায় বক্তারা বলেন, আধুনিক শহর/নগর বলতে একটি পরিকল্পিত নগরায়ন, সুপরিকল্পিত পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্ন ও উন্নত নাগরিক সুবিধার বিষয়টিই আমরা প্রত্যাশা করি। কিন্তু পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রম বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট নয়। উন্নত নাগরিক সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। 

তারা আরও বলেন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে মাটি, পানি, বায়ু দূষিত হচ্ছে যা মানবজীবনে একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলার আশংকা রয়েছে। তাই হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্যকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি। 

আলোচনা সভায় মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হবিগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংকট দূর হবে। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনের জন্য রিচি ইউনিয়নে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। শহরের বর্তমান ময়লা স্থানান্তরের জন্য অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করতে মির্জাপুরে প্রায় ১৬০ শতক জায়গা কেনা হয়েছে। ওই জায়গার চারপাশে দেয়াল তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনে ময়লা ফেলা যাবে। আমি পরিবেশবাদী বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংগঠনসহ এ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।

এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন বাপা হবিগঞ্জ সহসভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, হবিগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্টিজের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান শামিম, হবিগঞ্জ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওর্নার এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক সফিকুল বারী আওয়াল, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরী, কাউন্সিলর গৌতম কুমার রায়, সিনিয়র সাংবাদিক মনসুর উদ্দিন ইকবাল, সাংবাদিক সোয়েব চৌধুরী, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান নিয়ন প্রমুখ। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর