৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:১৮

মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো তারা

আটক দুই অপহরণ চক্রের সদস্য

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার মো. ছালাম সিকদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩০) ও পাইনাদী এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ওরফে চান্দু মনির। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজন অপহরণকারী পলাতক রয়েছে। তারা হলো- মুক্তা (২৬), রাজু (৩০), মাহবুব ওরফে জাফর (৩৫), নাদিম (৩৩), নিশাদ (৩২) ও হবুলের ছেলে সজল (২৭)।

পুলিশ জানায়, মাহাজাব উদ্দিন আদেল নামক একজন প্রিন্টিং ব্যবসায়ীকে প্রিন্টিংয়ের কাজ দেওয়ার কথা বলে অপহরণকারী চক্রের সদস্য মুক্তা (২৬) তার ফোন থেকে কল দেয়। কিছু প্রিন্টের কাজ আছে বলে দেখা করতে বলেন ব্যবসায়ীকে। অপহরণের শিকার ব্যক্তি অভিযুক্ত মুক্তাকে তার অফিসে আসতে বললে জবাবে তিনি বলেন, নারী হওয়ায় চলাচল কষ্টকর। ব্যবসায়ীকে তিনি মৌচাকে যেতে বলেন।

ব্যবসায়ী মাহাজাব আদেল মৌচাক পৌঁছালে উক্ত নারী তাকে মৌচাক মাদ্রাসা রোডের নিজাম উদ্দিনের পাঁচ তলার একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে মাহাজাব কোনো মেশিনপত্রের বদলে ১০-১১ জনকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তারা চোখমুখ বেঁধে তাকে মারধর শুরু করে।

ভুক্তভোগীর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অপহরণকারী চক্র। মারধর সহ্য করতে না পেরে মাহাজাব তার মোবাইল নাম্বার থেকে তার স্ত্রী ঝরনা আক্তার নদীর ফোনে কল দিয়ে টাকা পাঠাতে বলে। স্ত্রী টাকা পাঠাতে দেরি করায় ভুক্তভোগী তার বন্ধুদের নিকট টাকার জন্য ফোন দিলে বন্ধু মোস্তফা ১৫ হাজার টাকা, মাসুদ ৫০ হাজার এবং রাকিব ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের পাঠায়। এছাড়া ভুক্তভোগীর কাছ নগদ ১৭ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। বাকি টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একজন আসামিকে আটক করলে তার দেওয়া তথ্যে বাকিদের নাম ঠিকানা বের করে পুলিশ । গ্রেফতার আসামির দেহ তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) তদন্ত হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর