৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:২৬

ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের  ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় ইংরেজি শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত  শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (০৯ নভেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।   

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে সাটুরিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মুখের মধ্যে ৪ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। হরগজ গ্রামের বালুচর এলাকার মো. রফিকের ছেলে আলামিন ও রহমানের ছেলে রমজান আলী সজল এ ঘটনা ঘটায়। 

আহত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আলামিন ও রমজান প্রায় আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া আসার সময় ইভটিজিংয় করত। বুধবার সকালে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে আমার মোবাইলে। ফোনে আমাকে স্কুলের গেটের সামনে আসতে বলা হয়। সকাল পৗনে ১০টার সময় গেটের সামনে গেলে আমাকে আলামিন ও রমজান আলী বেদম মারধর করে। পরে স্থানীয়রা স্কুলে খবর দিলে অন্য শিক্ষকরা আমাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, রমজান আলী ও আলামিন প্রতিদিন আসা ও যাওয়ার সময় রাস্তায় ছাত্রীদের ইভটিজিংয় করে। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা মাঝে মধ্যে অভিযোগ করত। তিনি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ওই দুই বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে, আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা হরগজ বাজারে মানববন্ধন করেছে।

হরগজ ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, শিক্ষককে পিটিয়ে আহতের বিষয়টি আমি শুনেছি। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে না আসলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষককে মারধরের ঘটনায়  আলামিন ও রমজান আলীকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। 
                                                                      
বিডি-প্রতিদিন/এ এস টি

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর