২১ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৩৫

রাজাকারের সন্তানেরা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে: মির্জা আজম

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

রাজাকারের সন্তানেরা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে: মির্জা আজম

মির্জা আজম

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে বিএনপির আসল চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গ্রেনেড হামলায় মানুষ হত্যার অপরাধে পলাতক। আর বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে রুহুল আমীন রাজাকারের সন্তান মীর্জা ফখরুল। একজন হচ্ছে চুন্নি আরেকজন হলো খুনি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় নির্বাহী আদেশে বাসায় আছেন।

সোমবার বিকালে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এসব কথা বলেন।

মির্জা আজম বলেন, আওয়ামী লীগ দিয়েছে উন্নয়ন আর খালেদা জিয়ার আমলে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ দেশে কোনো কুড়েঘর নেই। যেখানে কুড়ে ঘর ছিল এখন সেগুলো টিনের ঘর হয়েছে। যেগুলো টিনের ঘর ছিল সেগুলো বিল্ডিং হয়েছে। যে আগে পায়ে হাঁটতো আজ তার একটি বাইসাইকেল হয়েছে, যে বাইসাইকেল চালাতো সে আজ মোটরসাইকেল চালাচ্ছে,  যার মোটরসাইকেল ছিল তার আজ প্রাইভেটকার হয়েছে। দেশের গ্রাম-গঞ্জের রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী একসাথে একশত ব্রিজ উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে ১৯ বার ভাষণ দিয়েছেন যা অন্য কোনো নেতার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে প্রতিদিন বিদায় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতাম। সে সময় মমতাজ, জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, অর্থমন্ত্রী এসএম কিবরিয়াসহ বহু নেতাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করা হয়। 

 তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাদেরকে ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়ে মোটা তাজা করেছেন। সে সময় মুক্তিযোদ্ধারা ছিল সবচেয়ে অবহেলিত। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরও যখন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারেনি তখন হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাসহ জাতীয় নেতাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট ১৪টি গ্রেনেড হামলা করা হয়। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা প্রানে বেঁচে যায়।

সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল   

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর