১৩ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৩০

অবসরপ্রাপ্ত বিদেশী নেতারা বাংলাদেশের এগিয়ে চলা রুখতে পারবে না: স্বপন

অনলাইন ডেস্ক

অবসরপ্রাপ্ত বিদেশী নেতারা বাংলাদেশের এগিয়ে চলা রুখতে পারবে না: স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, শত প্রতিকূল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমির স্বল্পতা, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা, সম্পদের স্বল্পতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন ও সর্বব্যাপী মানবকল্যাণের পথে এগিয়ে চলছে। ১৯৭১ সালে অভ্যুদয়ের সময় আমাদের জাতীয় সম্পদ ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ৮৪ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করত, মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৩ মার্কিন ডলার। পাকিস্তানীদের নারকীয়তায় দেশ ছিল ধ্বংস প্রাপ্ত। এমনকি ২০০৮ সালেও আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯৩ ডলার, অর্থনীতির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন ডলার, রপ্তানি ছিল ১৪.১ বিলিয়ন ডলার, দারিদ্র্য সীমার ছিল ৩৮ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার। 

তিনি আজ জয়পুরহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্বপন বলেন, সেই বাংলাদেশ আজ বিচক্ষণ রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ- নেতৃত্বে দেশের সকল শ্রেণি পেশার নাগরিকদের মেধা ও পরিশ্রমের ফসল হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের বিশ্ব মডেলে উন্নীত হয়েছে। আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৬৬ বিলিয়ন ডলার, মাথা পিছু আয় ২,৮৫০ ডলার, অতি দারিদ্র্য ১০.৫ শতাংশে নেমেছে, রপ্তানি ৫৩ বিলিয়ন, বিশ্বমন্দার মাঝেও ৩১ বিলিয়নের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। আয়তনে বিশ্বে ৯৪ তম, জনসংখ্যার ৮ম বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ৩৫ তম অর্থনীতির দেশ। বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫ তম এবং ২০৩৭ সালের মধ্যে ২০ তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নূন্যতম মাথাপিছু আয় হবে ৪,১২৬ ডলার এবং আমাদের যে লক্ষ্য তাতে ২০৪১ সালের পূর্বেই আমাদের মাথাপিছু আয় ১২,৭৩৬ ডলার অতিক্রম করতে হবে। তখনই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আমরা আত্মমর্যাদার সঙ্গে আত্মপ্রকাশ করবই ইনশাল্লাহ। 

তিনি বলেন, একজন বিশেষ ব্যক্তির জন্য কয়েকজন বিদেশী বিশিষ্ট নাগরিক বিদেশী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এই বিবৃতির বিজ্ঞাপন একজন ব্যক্তির অযৌক্তিক আবদার পূরণের জন্য দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চক্রান্ত। যারা বিবৃতির বিজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন তাদের অধিকাংশই নিজ নিজ দেশে রাজনীতিতে অবসর গ্রহণ করেছেন বা অবসর প্রস্তুতিকালিন ছুটিতে রয়েছেন। বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক নাগরিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলবেই। অবসরপ্রাপ্ত বিদেশী নেতারা বাংলাদেশের অদম্য এগিয়ে চলা রুখতে পারবে না । 

সকাল ১১ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্তি ও বেলুন উড়িয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  ফারজানা ইসলাম, অধ্যক্ষ আব্দুল মোমেন, এডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল, মোঃ গোলাম হাক্কানি, সংস্কৃতিসেবক আমিনুল হক বাবুল প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর