২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১২:৫৮

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে বৈশাখী মেলা

ঈদের আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করেছে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে আয়োজিত চার দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসন এই মেলার আয়োজন করেছে।

গোপালগঞ্জ পৌরসভা, বিসিক, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমি, গোপালগঞ্জের সার্বিক সহযোগিতায় গত ২৫ এপ্রিল রাতে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম। মেলা চলবে আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত।

বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে মেলার ৩০টি স্টল সাজানো হয়েছে। এখানে চামড়া, তাঁত, হস্ত, বুটিকস, কুটির শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের বেচা-কেনা জমে উঠেছে। বিভিন্ন বয়সের বিনোদন প্রেমীদের জন্য রয়েছে নাগরদোলাসহ বিভিন্ন রাইড। এছাড়াও প্রতিদিন মেলার সন্ধ্যায় উম্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। 

গোপালগঞ্জের সংগঠনগুলোর শিল্পীরা এখানে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করছে। নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয়সহ বিভিন্ন উপস্থাপনায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। 

গোপালগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মী পাভেল সিকদার বলেন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শিল্পপ্রেমী মানুষদেরকে একত্রিত করেছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বন্ধনে। মেলাকে ঘিরে গোপালগঞ্জে দারুণ এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পরিবারসহ মেলা দেখতে আসছেন এবং শৈশবের ফেলে আসা সেই স্মৃতিবিজড়িত দিনগুলো রোমন্থন করছেন। এমন আয়োজন যেন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে আমরা সবাই এমনটি প্রত্যাশা করি।

গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার ফারহান কবীর সিফাত বলেন, বৈশাখ মানেই বাংলা নববর্ষের সূচনা। আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের অন্যতম নাম পহেলা বৈশাখ। বৈশাখ ঘিরে বাঙালির উৎসবের অন্ত নেই। বাংলার প্রকৃতিতে বৈশাখ আসবে আর বৈশাখ ঘিরে মেলা হবে না তা কি হয়! বৈশাখী মেলার আবেদন তাই চিরন্তন। বৈশাখকে উৎসবের রঙে রাঙিয়ে দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে মেলার সাজে সজ্জিত হয় মাঠ-ঘাট-প্রাঙ্গণ। তেমনভাবেই গোপালগঞ্জে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলা ঈদের আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।

গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ বলেন, জাতির পিতার জন্মধন্য গোপালগঞ্জ জেলায় বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও ১৪৩০ বঙ্গাব্দের বৈশাখী উৎসব মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতার কালিমাকে উপেক্ষা করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোপালগঞ্জের সব স্তরের মানুষ মিলিত হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রায়। এরপর ঈদ শেষে জেলা প্রশাসন আয়োজন করেছে বৈশাখী মেলা। এটি মানুষের প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর