১০ মে, ২০২৩ ২০:৪৬

চাচার স্কুল ছেড়ে যাওয়ায় ভাতিজিকে বেধড়ক পিটুনি

নাটোর প্রতিনিধি

চাচার স্কুল ছেড়ে যাওয়ায় ভাতিজিকে বেধড়ক পিটুনি

নাটোরের লালপুরে প্রধান শিক্ষক চাচার স্কুলে না পড়ে অন্যত্র ভর্তি হওয়ায় শাম্মী আক্তার (১৬) নামের এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। 

ওই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন উপজেলার চকবাদকয়া কারিগরি ভোকেশনাল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা। এসময় তারা ওই শিক্ষার্থীর পিতা মোস্তাক (৫৫), মাতা সোনিয়া খাতুন (২৮) ও ছোট বোন মিতু খাতুনকেও (১০) বেধড়ক মারধর করেন। আহত অবস্থায় তাদের লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

আহত শিক্ষার্থী শাম্মী আক্তার বলেন, আমার ইচ্ছার বাইরে আমার চাচা চকবাদকয়া কারিগরি ভোকেশনাল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম তার স্কুলে ভর্তি করায়। কিন্তু আমি ভর্তি হওয়ার পর দেখি সেখানে কোনো পড়াশোনা হয় না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেশিরভাগ সময় বিদ্যালয়ের পাশে জুয়া/তাস খেলায় ব্যস্ত থাকে। 

তিনি আরও বলেন, আমি বিষয়টি আমার চাচাকে একাধিকবার বলার পরেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং উল্টো বলেন- এভাবেই এই স্কুলে পড়তে হবে। এ কারণে আমি তার স্কুল থেকে বের হয়ে পাশের অন্য একটি স্কুলে ভর্তি হই। এ কারণে সে এবং আমার অন্য চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা আমার বাড়ি এসে আমাকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এসময় তারা আমার বাবা, মা ও ছোট বোনকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। আমি প্রশাসনের কাছে তাদের কঠিন শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন বলেন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর