১৮ মে, ২০২৩ ১৪:৩৭

অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টু’র পাশে ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টু’র পাশে ডিসি

অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টু’র পাশে ডিসি

রাজশাহী মহানগরীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টু’র পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টু’র সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।

এসময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসককে জানান, তিনি দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মেশিনটি কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ সেন্টুকে দেখতে গিয়ে জানান, তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে। চিকিৎসক বলেছে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মেশিনটা এখন সবচেয়ে আগে প্রয়োজন। তাই এই মেশিনটা তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার পরে তার অন্যান্য সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

সেন্টুকে মেডিকেল থেকে রিলিজ (ছুটি) দিলেই তাকে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ডেকেছেন। সেখানে তার সমস্যার কথা শুনে সমাধান করে দেওয়া হবে বলেও সেন্টুকে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

‘সেন্টুকে আর রিকশা চালাতে হবে না, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে’ উল্লেখ্য করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দীর্ঘ সাত বছর থেকে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। তাই রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালিয়ে টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) শামসুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, সেন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মাইনুরজ্জামান সেন্টু দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটা অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর