২৫ মে, ২০২৩ ১৬:১২

সিরাজগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ কেটে আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রাথমিক সত্যতার পর জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত কমিটি গঠন করেও অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত করেছে। অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা ও তার স্বামী প্রভাব খাটিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছে। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার বলছেন, ইচ্ছে হয়েছে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। আপনারা লিখে যা পারেন, করতে পারেন। 

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ছয়টি মেহগনি গাছ নিলাম না করে আত্মসাত, স্কুলের অনুকুলে বরাদ্দ স্লিপের বরাদ্দের টাকা আত্মসাত-অনিয়ম ও দুর্নীতি, বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত পাঠ্যপুস্তক ও উপবৃত্তি প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। স্কুলের কাগজপত্রাদি নিজ বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান খুবই খারাপ। স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী বাংলা-ইংরেজি পড়তে পারে। ৫ম শ্রেণীর ১৭ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন পড়তে পারে। এসব অনিয়মের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলে ওই শিক্ষিকা দায় স্বীকার করেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ ছেড়ে দিয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্বপালন শুরু করেন।

অভিযোগের বিষয়গুলো জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হলে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহজাদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্তের চিঠি ইস্যু করার কয়েকদিন পরই অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত করে দেন। অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষিকা ও তার স্বামী চৈরগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক খুরশিদ আলম জেলা শিক্ষা অফিসারকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শামীমা ইয়াসমিন জানান, প্রাক্কলন  মোতাবেক কাজ করেছি, তারপরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আমি তার জবাব দিয়েছি।
 
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী সাহা জানান, জেলা শিক্ষা অফিস বিষয়টি অবগত রয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তবে কি কারণে তদন্ত বন্ধ রয়েছে সেটা বলতে পারছি না।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ইচ্ছে হয়েছে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। তবে বড় লেনদেন হোক আর ছোট লেনদেন হোক সেটা আমার বিষয়। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আমার ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আপনারা লিখে যা পারেন, করবেন।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর