আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শেষ সময়ে নাড়ির টানে গ্রামের দিকে ছুটছেন মানুষ।
এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে গত দুদিন ধরেই রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। সেই সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপও। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের এই অংশের কোথাও কোনও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
যানজট না থাকায় অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক। তবে স্বস্তির এই ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টির বাগড়া। বুধবার সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টির ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের। তবে বৃষ্টিতে ভিজেই গ্রামের দিকে ছুটছেন তারা।বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
পরিবার নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, মঙ্গলবার অফিস ছুটি দিলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির জন্য গ্রামে যাইনি। আজ সকাল থেকে দেখি অবস্থা আরও খারাপ। কি আর করার শেষ সময়ে বৃষ্টিতে ভিজেই যেতে হচ্ছে।
রিয়াজুল হাসান নামের আরেক যাত্রী জানান, দীর্ঘদিন পর গ্রামে যাওয়া হচ্ছে। তাই নিজের মধ্যে অনেক আনন্দ কাজ করছে। কিন্তু বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়ে গেলাম। টিকিট কেনা থেকে শুরু করে বাস পাওয়াটাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো. ইব্রাহিম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে সর্বমোট ১৪০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ, মোবাইল টিম, হোন্ডা টিম, অ্যাম্বুলেন্স টিম মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি দুই মহাসড়কের কোথাও কোনও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় ও মদনপুর এলাকায় দুটি রেকার এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একটি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক বিভাজক বন্ধ করে দিয়ে ইউটার্ন খুলে দেওয়ায় যানবাহনগুলো কোনও সিগন্যাল ছাড়াই একস্থান থেকে আরেকস্থানে যেতে পারছে। সেজন্য এবার মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি আগের তুলনায় খুবই ভালো রয়েছে। আমরা যানজট নিরসনে সবসময় নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ঘরমুখো মানুষ স্বাছন্দেই তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারবেন।
এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২৮, ২৯ ও ৩০ জুন) ছুটি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার একদিন ছুটি বাড়িয়ে মঙ্গলবারও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই এবার ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম