পৌরসভার আবাসন আইন অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসরত পাঁচটি পরিবার। স্থানীয় মাতব্বরদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় সমস্যা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।

প্রায় দুই বছর ধরে এমন অমানবিকতার শিকার হচ্ছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কচুয়াডাঙা প্রাইমারি স্কুলের সামনে বসবাসরত পাঁচ পরিবার।

ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে এই স্থান দিয়ে চলাচলের রাস্তা ছিল। দুইজন ওই স্থানের ৮ শতাংশ জমি কিনে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় মাতব্বররা দুই ফুট রাস্তা ছাড়ার জন্য বললেও জমির ক্রেতা সেই সিদ্ধান্ত না মেনেই দেয়াল নির্মাণ করেছেন। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবগত করা হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি।

চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের কথা স্বীকার করেছেন জমি ক্রেতা রহিম। তিনি বলেন, আমার দুই শালিকার নামে ওই জমিটুকু কেনা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে দুই ফুট রাস্তা ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। রাস্তা ছাড়ার ওই দুই ফুট জায়গার বিপরীতে সুবিধাভোগীরা আমাকে দুই ফুট জায়গা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত দেন কাউন্সিলর। তবে প্রতিবেশীরা জায়গা না দেওয়ায় আমি দেয়াল নির্মাণ করেছি।

জমির ক্রেতা সত্তর বলেন, আমার জমির এক অংশ দিয়ে রাস্তা ছাড়া আছে। এক জমির দুই দিক দিয়ে রাস্তা দেওয়া কি সম্ভব?

পাঁচ পরিবারের চলাচলে চরম অসুবিধার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় মাতাব্বর বাবর আলী। তিনি বলেন, আমরা কয়েকবার রাস্তার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। সমাধানের জন্য আমি রাস্তার জন্য তিন ফুট জমি ছাড়লে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দুই ফুট জমি নিয়ে দেব এমন প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। তবে রহস্যজনক কারণে আমাদের সেই প্রস্তাবও মানেননি তারা। বিষয়টি সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান আলীম বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোছা. মাহমুদা বেগম জেবু জানান, প্রতিবেশীদের চলাচলের ব্যবস্থা না থাকলে অবশ্যই রাস্তা ছাড়তে হবে জমির মালিকদের। অভিযোগ দিলে পৌর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই