১৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১৫:০৫

‘বেঁচে থাকলে শেখ হাসিনার প্রেরণার উৎস হতেন শেখ রাসেল’

দিনাজপুর প্রতিনিধি

‘বেঁচে থাকলে শেখ হাসিনার প্রেরণার উৎস হতেন শেখ রাসেল’

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, শহিদ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ পিতার মতই বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতেন। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরণার উৎস হতেন সকল মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য। দেশ ও জাতি পেত একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা। দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারতো শেখ রাসেলকে নিয়ে। কিন্তু ঘাতকরা তাকে বেঁচে থাকতে দেয়নি।

বুধবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত উদ্বোধনী ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠান এবং ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।

হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, শিশু রাসেল যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুর মতই হতেন। ঘাতকরা এটা বুঝতে পেরে তাকেও হত্যা করে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তা হতে দেননি। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে বাঁচতে শিখেছেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবে রুপ নিয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপ-সচিব মোরারজি দেশাই বর্মন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, সিভিল সার্জন বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রমিজ আলম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামীম আলম সরকার বাবু, সাধারণ সম্পাদক এনাম উল্ল্যাহ জ্যামী প্রমুখ।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর