নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে হরতাল সমর্থনে যুবদরের মিছিল চলাকালে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলা ভাঙচুর ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয় এবং পুলিশ ১৯ বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করে। এদিকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে যুবদল নেতা হানিফ টিটুর নেতৃত্বে বেগমগঞ্জের ছয়ানী-ছন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার সড়কে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর সড়ক অতিক্রমকালে চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এসময় বিএনপির ১৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে র্যাব,বিজিবি ও র্যাবের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেলের নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদীতে একটি শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বেগমগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ও আমানতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংঘঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে চন্দ্রগঞ্জ পূর্ববাজার শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এ ব্যাপার জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে মিছিলের নামে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ এ ঘটনায় ১৯ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল