২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৫:৫৬

‘বৈধ অস্ত্রের অপব্যবহারের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে ইসি’

রাঙামাটি প্রতিনিধি

‘বৈধ অস্ত্রের অপব্যবহারের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে ইসি’

কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘বৈধ অস্ত্রের অপব্যবহারের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে আছে নির্বাচন কমিশন।’ 

তিনি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে বলা আছে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রেরও যাতে অবৈধ ব্যবহার না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।’

আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্নস্তরের প্রশাসনের সাথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।

মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জাতীয় নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়ন থাকবে। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটার অধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, তাদের সুন্দরভাবে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে। এছাড়া বিএনপিকেও বারবার নির্বাচনে আলোচনায় আসার আহ্বান করা হয়েছে। এখনো সময় আছে বিএনপি চাইলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।’

এসময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান ও জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল উপস্থিত ছিলেন। 

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দেশি বিদেশি কোনো প্রকার চাপ আমাদের নেই। ৫০টি দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে তাদের পর্যবেক্ষণে আবেদনের মেয়াদ শেষ। কিন্তু তবুও তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদনের মেয়াদ ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেও যাতে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নিবার্চন নিশ্চিত হয়, সে বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো অবৈধ অস্ত্রের প্রভাব যাতে নির্বাচনে না পড়ে সে বিষয়ে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রের মুখে যাতে ভোটারা জিম্মি না থাকে সে বিষয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার সবার আছে। যে কোনো দল চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নয়। নাশকতা, অবৈধ অস্ত্র, হুমকি-দমকি নির্বাচন কমিশন মেনে নিবে না। তাদের ছাড়ও দেওয়া হবে না।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর