নাটোরের বড়াইগ্রামের প্রকৌশলী আবুল কাশেম বকুল (৪২) ও সাবিকুন নাহার সুমা (৩৪) দম্পতি কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের পানিতে ডুবে মারা যান। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এই দম্পতির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে সী-সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা।
আবুল কাশেম বকুল নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার দিয়ারপাড়া মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মরহুম বোরহান উদ্দিন আহমেদের ছেলে। সাবিকুন নাহার সুমা নীলফামারীর সৈয়দপুরের মৃত সুলতান আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে আবুল কাশেম বকুল তার স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যান। শনিবার সকালে তারা সীগ্যাল হোটেলের ৩২৭ নম্বর কক্ষে উঠেন। রবিবার সকালে গোসলের উদ্দেশ্যে তারা সৈকতে যান। কয়েক ঘণ্টা পর অন্য পর্যটকরা তাদের ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে খবর দিলে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।ছেলে ও পুত্রবধূর মৃত্যুর খবরে বকুলের মাসহ স্বজনরা যেন শোকে পাথর হয়ে গেছেন। বাবা-মায়ের মেজো ছেলে বকুলের এমন মৃত্যু তারা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। স্বামী-স্ত্রীর এক সঙ্গে এমন মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার।
নিহতের বড় ভাই আবুল হাশেম জানান, প্রশাসনিক কার্যক্রম শেষে দুজনের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, তাদের তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে তাদের নানীও আসছেন। কিন্তু শিশু বাচ্চাদেরকে তাদের বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর এখনও দেয়া হয়নি। সামনাসামনি বাবা-মায়ের লাশ দেখে তারা কিভাবে সহ্য করবে এটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, নিহত দম্পতির মরদেহ নাটোরে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল