নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে শোকজ করে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। রবিবার তার প্রতিনিধি আইনজীবী কাজী নাজমুল হক নিজাম আদালতে হাজির হয়ে দোষ স্বীকার করেন। পরে তাদের প্রথমবারের মতো সতর্ক করে এই শোকজ থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
জানা গেছে, শুক্রবার ওই সংসদ সদস্য প্রার্থীকে শোকজ করে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে দেবিদ্বার পৌর সদরে শোডাউন করেন। এ সময় তিনি নিজের গাড়ির ছাদ খুলে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা ও নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। শোডাউনে কয়েকশ মোটরসাইকেলের বহর ছিল। এতে রাস্তার যান চলাচল ব্যহৃত হয়। ঘটনাটি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ঘটনা সত্য হলে তা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধির লঙ্ঘন।
রবিবার তার প্রতিনিধি আইনজীবী কাজী নাজমুল হক নিজাম নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে জানান, ওই শোডাউনে তিনি কাউকে ডাকেননি। মানুষজন চলে এসেছিল তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তিনি ভবিষ্যতে নির্বাচনে আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সতর্ক থাকবেন। এবং নির্বাচনবিধি অনুসরণ করবেন।সংসদ সদস্যদের প্রতিনিধির এই ব্যাখ্যায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বশীল ও কুমিল্লার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইমাম হাসান নির্বাচন কমিশন সচিবকে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত নিজে দোষ স্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে "সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮" এর ৮ (ক) এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। তবে তিনি ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবেন না বলে লিখিতভাবে দরখাস্ত দেয়ায় তাকে উক্ত বিধি লঙ্ঘন না করার জন্য সতর্ক করার নিমিত্ত সুপারিশ করা হলো৷
সোমবার সকালে আইনজীবী কাজী নাজমুল হক নিজাম বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে করাণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। এমপি রাজি ফখরুল দেশে না থাকায় রবিবার আমরা বিষয়টি ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। এতে আদালত আমাদের কঠোরভাবে সতর্ক করে। আমরাও কথা দিয়েছি ভবিষ্যতে আর আচরণ বিধি লঙ্ঘন হবে না। আদালত আমাদের এই শোকজ থেকে অব্যাহতি দেয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ