ঋণখেলাপি থাকায় কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া সাবেক এমপি আব্দুর রউফের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষে জেলার চারটি আসনে মোট ১৭ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন তিনি।
এ ছাড়া কুষ্টিয়ার দুই হেভিওয়েট প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ মোট ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ভুল থাকা, আয়কর রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র না থাকা ও ঋণ খেলাপি থাকায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাতিল প্রার্থীরা আগামীকাল থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।কুষ্টিয়া-১ আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল মামুন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা পটলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় বাতিল হয়েছে পিপলস পার্টির মোহাম্মদ ফজলুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেনের মনোনয়নপত্র।
এখানে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ও অন্যতম সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া-২ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ১ শতাংশ সমথর্কের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইফতেখার মাহমুদ ও শরিফুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় বাতিল হয়েছে পিপলস পার্টির এজেএম শাহিদুজ্জামান, বিএনএম’র আরিফুর রহমানের মনোনয়নপত্র। আর আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল আরিফিন ও সাম্যবাদী দলের আনোয়ার হোসেন বাবলুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এখানে জাসদ সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু ও অন্যতম সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া-৩ আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা কামাল মারুফ ও রাকিবুজ্জামান সেতুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় বাতিল হয়েছে তরিকত ফেডারেশনের মেহেদী হাসান রিজভী ও জাতীয় পার্টির নাফিজ আহমেদ খান টিটোর মনোনয়নপত্র।
এখানে বর্তমান এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনুসহ ছয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া-৪ আসনে দাখিল করা ১০টি মনোনয়নের মধ্যে ঋণখেলাপি থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে সাবেক এমপি আব্দুর রউফ ও জাকের পার্টির ফারুক হোসেনের। আর ১ শতাংশ সমর্থকের তথ্য সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খাইরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সেলিম আলতাফ জর্জসহ সাতজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই