নাটোরের বাজারগুলোতে একদিনের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির কারণ জানেন না কোন ব্যবসায়ী। স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে চার মাসের জন্য ভারত থেকে পিঁয়াজ আমাদানি বন্ধ হওয়ার খবর প্রচারের পর থেকে স্থানীয় বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
শনিবার সকাল থকে কিছু সময় দেশি পিঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দাম হাঁকা হয়। একই সাথে ভারত থেকে আমাদনিকৃত এবং নতুন ওঠা পিয়াঁজের দাম বাড়ানো হয়। নাটোরের স্টেশন বাজার, নিচাবাজারও মাদ্রাসা বাজারে আমদানিকৃত এইসব পিঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা এবং নতুন পিঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। আজ আমদানিকৃত পিঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০ টাকা এবং দেশি নতুন ওঠা পিঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
নাটোর স্টেশন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আসলাম হোসেন এবং রানা মিয়া জানান, তারা পাইকারি বিক্রেতার কাছে প্রতি কেজি দেশি পিয়াঁজ কিনেছেন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং আমদানিকৃত ১৭০ টাকায় ও দেশি নতুন ১৫০ টাকায় কিনেছেন।শামছুল আলম নামে এক পাইকারি বিক্রেতা জানান, তিনি মোকাম থেকে পিঁয়াজ কিনেছেন। প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম নিয়েছে ১৮০ টাকা করে। এছাড়া মোকাম থেকে নাটোর বাজারে আনতে তার গাড়ি খরচ হয়েছে। এর পরও তিনি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, পিঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের সাথে এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হচ্ছে। কি কারণে দাম বেড়েছে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে একটি সূত্র জানায়, ভারত থেকে আমাদানি বন্ধ হওয়ার কারণে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রচারের পর থেকে পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন ধরনের উদ্যেগ না থাকায় নিত্য পণ্যের দাম বেপরোয়া গতিতে বাড়ানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঁঞা জানান, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্থানীয় বাজারে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল