দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের ৬টিতেই নৌকার বিপরীতে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে গত শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ্-তাড়াশ) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকি পাঁচটি আসনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) জহুরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে হিল্টন প্রামানিক, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে ফজলুল হক ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে মোক্তার হোসেন নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসনগুলোতে প্রার্থীরা সাধ্যমত পোস্টার লাগিয়েছেন। তবে চোখে পড়ার মতো নয়। ভোটার মাঝে মাঝে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন। তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, নৌকার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মতো সাংগঠনিক ভিত ও জনসমর্থন জাতীয় পার্টির নেই।
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জানান, ১৮ তারিখের পর থেকে নির্বাচনি ঢেকুরিয়া, মাইঝবাড়ী, পরানপুর, হরিনাথপুর, চালিতাডাঙ্গা, মাথাইলচাপড় হাটশিরা সোনামুখী, শিমুলদাউর চৌরাস্তা, ছোনগাছা, পিপুলবাড়ীয়া ও বহুলীতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়েছে। জনসংযোগকালে জনগণের বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে। তিনি জানান, দু-একটি এলাকা ছাড়া নির্বাচনি এলাকার বেশিরভাগ এলাকায় পোস্টার লাগানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমিনুল ইসলাম জানান, ২০ তারিখ থেকে প্রচার-প্রচারণার মাঠে নেমেছি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লিফলেট বিতরণসহ প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি বিজয় হবে।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফজলুল হক ডনু জানান, চৌহালীর প্রত্যকটা ইউনিয়ন, এনায়েতপুর ও বেলকুচি সদর, দৌলতপুর ইউনিয়ন ও চালা এলাকায় লিফলেট ও গণসংযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গণসংযোগকালে সাড়া পেয়েছি। বিএনপি-জামায়াতকে যেসব ভোটার মৌন সমর্থন করেন তারাসহ সাধারণ ভোটাররা যদি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান তবে তাকেই ভোট দিবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোক্তার হোসেন মাঠে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ