সুনামগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিকের সমর্থনে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করে প্রচারণা চালানোয় তাকে ও তার সমর্থক পিতা-পুত্রকে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই আদেশ দেওয়া হয়।
সংসদ সদস্য মানিক ছাড়াও নোটিশপ্রাপ্ত অন্য দুইজন হলেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল খালেক ও তার ছেলে আবুল মিয়া।নোটিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের জায়গায় বিনা অনুমতিতে নৌকার প্রার্থী মানিকের পক্ষে সভার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসি ল্যান্ড ও থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে সভার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। তারপরেও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে সমর্থকরা সভাস্থল থেকে বের হয়ে স্লোগানসহ মিছিল বের করেন। এই সভার আয়োজক ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল খালেক ও তার ছেলে আবুল মিয়া।
নোটিশে আরো বলা হয়, এভাবে বিনা অনুমতিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সভা আয়োজনের মাধ্যমে তারা অন্য প্রার্থীদের কাছে এই বার্তা দিতে চাইছেন যে, প্রশাসন তাদের পক্ষে রয়েছে। এছাড়া নৌকার প্রার্থী দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নে বেআইনি ভাবে তিনটি ক্যাম্প থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাস্তবে অনুসন্ধানে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
এই প্রেক্ষিতে এমপি মানিক ও তার অনুসারী পিতাপুত্র খালেক এবং আবুলের বিরুদ্ধে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না এই মর্মে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিসে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল