প্রচারণার শেষ দিনে গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি এলাকা ছিল উৎসবমুখর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদিন কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রচারণা শেষে রাতে মাঝবাড়ি ওয়েস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাঠে নৌকা প্রতীকের জনসভায় যোগ দেয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
হিরণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
হিরণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মো. ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, হিরণ ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হান্নান শেখ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, এডভোকেট এস এম মুনির হোসেন, হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজাহারুল আলম পান্না, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ইস্রাফিল, ফরমান মুন্সি, মিজানুর রহমান খান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজ হাসানাত কামরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়া বক্তব্য রাখেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জনসভায় আগত কলেজ ছাত্র সবুজ শেখ বলেন, এ বছরই আমি নতুন ভোটার হয়েছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি প্রথম ভোট দিব। আমার জীবনের প্রথম ভোটটি আমি নৌকা প্রতীকে দিতে চাই।
হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজাহারুল আলম পান্না বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় ধারাবাহিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচনি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রচারণার শেষ দিনে মাঝবাড়ি ওয়েস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জনসভাটিতে নারী-পুরুষসহ সকল বয়সের মানুষের ঢল নেমে ছিল।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটিগুলো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের পরামর্শে সুন্দর ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে।
শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করে। অর্থাৎ নির্বাচনে যদি তারা নির্বাচিত হয় তাহলে ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে। কিন্তু বিগত দিনে আওয়ামী লীগ ব্যতিত যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা কেহউ ঘোষিত ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করেনি। বাংলাদেশে একমাত্র দল আওয়ামী লীগ যারা ক্ষমতায় এসে তাদের ঘোষিত ইশতেহার অনুয়ায়ী কাজ করেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকার কারণে এসব সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, এ বছরও আওয়ামী লীগ নির্বাচনি যে ইশতেহার ঘোষণা করেছে সেটি বাস্তবায়ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আকাশ জয় করেছেন। ট্যালেনের মাধ্যমে পাতাল জয় করেছেন। বিনা রক্তপাতে বাংলাদেশের সমপরিমাণের চেয়েও বেশী জায়গা সমুদ্র থেকে জয় করেছেন। তিনি পার্বত্য এলাকায় গোলমাল মিটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা এ দেশে সব কিছুই জয় করেছেন। তিনি এদেশের মানুষের মন জয় করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই এ দেশ নিরাপদ।
উপস্থিত ভোটারদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সোনার বাংলা হয়েছে। তাই আমি সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করুন।
এদিকে, উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাদল ও পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত