শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের গামছা প্রতীকের প্রার্থী সুন্দর আলী অভিমানে সকল এজেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।
ওই প্রার্থীর অভিযোগ, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি জুবাইদুল ইসলাম বাবু তার সকল এজেন্ট অন্য কোনো প্রার্থীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।
গামছা প্রতীকের প্রার্থী সুন্দর আলী জানান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি জুবায়দুল ইসলাম বাবু আমাকে শেরপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী করার পর থেকেই বলে যাচ্ছে নির্বাচনের সকল খরচ প্রদান করা হবে। অথচ আজ পর্যন্ত কোনো খরচপাতি না দেওয়ায় আর্থিকভাবে তিনি (সুন্দর আলী) অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে দলের সভাপতি বাবু তার আসনের সকল এজেন্ট এর তালিকা তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে নেয় এবং অন্য কোনো প্রার্থীর কাছে বিক্রি করে দেয়। এ খবর পেয়ে তিনি তার সকল এজেন্ট প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম এর বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেন।সুন্দর আলী বলেন, আমি এজেন্ট ছাড়াই নির্বাচন করবো।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন চন্দ্র পাল জানান, প্রার্থীর সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি জুবাইদুল ইসলাম বাবু বলেন, আমাদের প্রার্থীর অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। তাকে ইতিমধ্যে পোস্টার ও অন্যান্য খরচ দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যে অভিযোগ দেয়ার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, আমি এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল