৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৮:২৮

বেলকুচিতে নির্বাচনি সহিংসতায় বসতবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট আহত ১২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

বেলকুচিতে নির্বাচনি সহিংসতায়
বসতবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট আহত ১২

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে গত দুইদিনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনি এলাকা বেলকুচি-এনায়েতপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে নৌকা প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের সমর্থকরা এ হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। 

জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চারচালায় পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মন্ডলকে এলাকা ছাড়ার হুমকি ও মারপিট করেছে নৌকার সমর্থক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় দৌলত মন্ডলের ছেলে মমিনকে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় দৌলত মন্ডল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেছেন, ভোটের দিন তারা আমার ছেলেকে মারপিট করেছে তাই তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর ও সমেশপুরে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বেশ কয়েকজন সমর্থককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাজাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, সমেশপুর গ্রামের হাসান আলী, নিক্সন সরকার ও হোসেন আলী গুরুতর অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এছাড়াও রবিবার নৌকার প্রার্থী বিজয়ী ঘোষণার পর এনায়েতপুরের খামার গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় বিমল দাস বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। একইরাতে যুবলীগ নেতা জুয়েলের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গাবাড়ি সীমান্ত মার্কেটের দৃষ্টি প্রতিবন্ধি বৃদ্ধ মোতালেব হোসেনকে মারধর, তার চায়ের দোকান ও বসতবাড়ি ভাঙচুর এবং বেতিলে আব্দুল্লাহ মন্ডলের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এ দিনে ৭ জনকে জনকে মারপিট করেছে নৌকা সমর্থকরা। 

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই নৌকা প্রার্থী মমিন মন্ডল হুমকি দিয়ে আসছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সেই হুমকি বাস্তবায়ন করছেন। তার বাহিনীর হাত থেকে মুরুব্বিরাও রেহাই পায়নি। 
বেলকুচি থানার ওসি মো. আনিছুর রহমান জানান, বিভিন্ন জায়গায় মারামারির খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। ভিকটিমদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। যেসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে সেসব ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর